ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্প :--
আমি রোজ সকালে ঘুম ভেঙে দেখি ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে খুব নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার মায়াবী মিষ্টি চেহারাটা দেখে আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারি না । ওর বাচ্চাদের মত করে থাকা মুখটা দেখে আমি একটু মুচকি হাসি দেই। তারপর মিষ্টি করে ঘুমন্ত পরী তাকে তার মাথায় একটা চুমু দিই ।
ভালোবাসার গল্প |
ও আমার সেই ঠোটের স্পর্শ অনুভব করতে পারে আরেকটু নড়েচড়ে আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেনা - উমমম !!! আর একটু ঘুমাবো গো ।
আমি তখন দুষ্টুমি করে ওকে শুরশুড়ি প্রথমেই বলি আমার বউয়ের হাতু কুতু । তারপর আর কি অমনি লাফিয়ে উঠে আমাকে মারতে থাকে তাও আবার আনন্দে এটাই আমাদের প্রতিদিনের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা দিয়ে শুরু হয় সকাল।
আমাকে সে বলেছিল রান্নাঘরে আলগা পিরিত জানো না দেখায় । আরে ভাই আমি কি দেখাবো সেতো নিজেই এখন আলগা পিরিত দেখায় আমাকে।
আমি তার কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আর সে গেছে তরকারি ভাত তুলে দিয়ে অমনি এসে আমার হাত দুটো টেনে নিয়ে ওর কোমরে রাখে আর তারপর আমার শূন্য বুকটাতে আশ্রয় নেই আমি বেচারা বলেই যাও তরকারি পুড়ে যাবে । সে বলে, কি বলে জানেন তো জানলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।
ভালবাসার গল্প
পুড়ুক গা একদিন নয়তো পোড়া তরকারি খাবে ? পুরা তরকারি খেলে কি হয়? আমার এখন তোমাকে খুব জড়িয়ে ধরে থাকতে ইচ্ছে করছে আমাকে এখন একটু আদর করে দাও?
আমার বউটা একটা পাজি মেয়েটা। সে আমাকে বলেছে তিন বেলা নিজের হাতে তাকে খাইয়ে দিতে কারন আমি সে কারণে এখন অফিসের টিফিন নেইনা লাঞ্চের সময় এসে ওকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলে তবে খায় নয়তো সারাটা দুপুর না খেয়ে পাগলীটা আমার জন্য বসে থাকে।
আর আমাকে সে এটাও বলেছিলো রবিবারের দিন তাই তার সাথে বাসার সব কাজ করতে হবে আমাকে সত্যিই তাই। পাজি মেয়েটা ইচ্ছে করে সারা সপ্তাহের কাজ একদিনে জমিয়ে রাখে তারপর সেটা আমাকে দিয়ে করায়।
মাঝে মাঝে যখন আমি খুব রেগে যায় তখন চেচিয়ে উঠে ওই দূরে এসে আমার শুকনো ঠোঁট দুটো ঠোঁট দিয়ে ভিজিয়ে দিয়ে আমাকে বলে,
রাগে না প্রানের স্বামী আমিনা তোমার আদরের বউ আমি না থাকলে তখন,,,,
বাকিটা আর তাকে বলতে দিই না ওর মুখটা চেপে ধরে আমি বলি-
তুমি সারাটা জীবন ধরে আমার পাশে থাকবে।
আমার পাগলি বউ টা বলেছিল সে কাঁদলে তার সাথে আমাকেও নাকি কাঁদতে শুরু করতে হবে কান্না করব কি এখন তো ওকেই কখন চুপচাপ মুখ গোমড়া হয়ে থাকতে দেখলে আমারই চোখে পানি চলে আসে মাঝখান থেকে ও এসে আমার সাথে কান্না জুড়ে দিয়ে বলে,
আরে বোকা ছেলে কাঁদছো কেন ? আমি তো এমনিতেই চুপ করে রয়েছি ।
পিচ্চি বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ওর মনের ভেতর একটা আবদার ছিল যেদিন ওর মন ভালো থাকবে না সেদিন আমি অফিসে না গিয়ে ওর সাথে পাশে বসে থাকবো আমি এখন এমনিতেই মাসে তিন চারদিন অফিস বাদ দিয়ে বইয়ের সাথে রোমান্স করি পরম বউটা নিজের প্রতিদিন আমাকে ঠেলে ঠেলে অফিসে পাঠায়। কী করবো আপনারাই বলুন এত সুন্দর মিষ্টি টুকটুকে বউ রেখে কাজে যাওয়া যায়।
পাগলিটা আমাকে বলেছিল কোন মেয়ে তো দূরের দিকে তাকাতেও পারব না এছাড়া অন্য মেয়ের দিকে তাকাবো ইবা কি করে আমি যে মেয়েটাকে দেখে মনে হয় ওর থেকে আমার বউই অনেক সুন্দরী ।
তারপর মনে হয় খামোখা এসব মেকআপ বালি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে আমার পাগলি বউ এর ভালোবাসা হারাবো কেন পাগলি বলেছিল সে না খেলে আমাকেও না খেয়ে থাকতে হবে,
হা হা হা সত্যি আমি নিজের খিদে সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু এখন খিদে লাগলে খাওয়া তো দূর বউ না খেয়ে আছে শুনলে আমার পুরো পৃথিবী উলটপালট হয়ে যায়।
ও যদি আমার সাথে অভিমান করে তোর হাসি মুখটা না দেখা অব্দি আমার গলা দিয়ে ভাত নামে না ভালোবাসা মানুষকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। যদি আপনারা একমত হলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
ভালবাসার গল্প |
একবার এক দিন পর জ্বর হয়েছিল কিছু খেতেও পারছিল না সত্যি বলতে ওই সময়টায় কথা আমি খুব মিস করি তাকে আর আমি সেই কথাটা মনে করতে চাই না । আমার বউটা কিচ্ছু খেত না কোন আবদার করত না আমার সাথে দুষ্টুমি করত না । শুধু চোখ দুটো মেলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতো,
দেখো আগামীকাল সকালে আমি সুস্থ হয়ে যাবো ।
আমি সারাটা রাত জেগে ওর মাথায় আদর করতাম আমার বুকে ওর মাথা রেখে চুপচাপ কান্না করতাম ও বারবার আমাকে কাঁদতে নিষেধ করতো ।
জ্বরের সময় আমার বউটা ঠিক যতটা খাবার খেতো আমিও ততটুকুই খাবার খেতাম কারণ ওর কষ্টটাকে আমি নিজে অনুভব করতে চেয়েছিলাম । ও রাগ দেখিয়ে বলতো আমাকে,
তুমি যদি এই খাবারটি না খাও তাহলে আমি ভাল হবো না কিন্তু দেখো আমি মরে যাবো।
আমি ওকে তৎক্ষণাৎ জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিতাম পাগলিটা বলেছিল রেগে গেলে ও আমাকে ঘরের দরজা লাগিয়ে পিটাবে সত্যি বলতে এই তিন মাসে সেই সময় টা কখনো আসেনি আর মনে হয় আসবেও না । কারণ - আমার ওপরে ওকে কখনো রাগ দেখাতে দেখি নি । যেটা দেখেছি সেটা হল অভিমান ও বলেছিল চাঁদনী রাতে ছাদে নিয়ে গিয়ে ওকে গল্প শোনাতে হবে।
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী
এখন চাঁদনী রাত হোক বা আধার রাত আমি প্রতিরাতে ওকে ছাদে নিয়ে গিয়ে আদর করতে চাই। কিন্তু লক্ষী বউটা আমার নিজেই বলে, থাক চলো ঘুমাবে কাল সকালে তোমার কাজ আছে।
আমার পাগলিটার আবদার ছিল যখন যেটা খেতে চাইবে তখন তাকে সেটা এনে দিতে হবে তবে তার খাওয়ার আবদার গুলো বড়ই অদ্ভুত এই যেমন - এক গ্লাস পানি হাতে এনে বলবে, শোনো না আমার ভীষণ জল তেষ্টা পেয়েছে।
হ্যাঁ তো তুমি জল খাও।
না আগে তুমি অর্ধেকটা খাও।
আমি জল খাব কেন আমার কি তৃষ্ণা পেয়েছে ।
কারণ সামির হিট করা জিনিস বউ খেলে ভালোবাসা বাড়ে । বুঝেছো....
তাঁর আবদার বড়ই অদ্ভুত বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে বলবে সে বেশি করে জ্বাল দিয়ে মুড়ি খেয়ে লাও মুড়ি মাখিয়ে দিলে সে মুড়ি খাবে আর আমাকেও খেলাবে আর এসব বলবে,
এতো ঝাল করেছো কেন আমার পাগল ইতর ? দিতে বলেছে বলেই এত ঝাল করে দিতে হবে নাকি ? তার মধ্যে তেল দাও নি? এভাবে কেউ কি মুড়ি খায়?
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ওর শেষ আবদার তাও আমার খুবই প্রিয় সেটা হলো ১০০ টা আই লাভ ইউ আর 200 টা চুমু দিতে হবে রোজ। সত্যি বলতে আগে মনে হতো এটা কখনোই সম্ভব না ১০০ টা টা টা 200 টা আ আ চুমু । কিন্তু না যেদিন থেকে বউকে ভালোবাসতে শিখেছি এই মায়াবিনি মায়া জড়িয়ে গেছি সেদিন তাকে শুধু মনে হয়েছে যে , ওই পাগলীটা ঐদিন 100 টার বদলে 500 টা আই লাভ ইউ বলতে বলে নি কেন আর হাজারটা চুমো চাইল না কেন? আমি এখন আমার পাগলিটা রে যখনই সুযোগ পাই তখনই চুমু দেই মাঝে মাঝে ও নিজেই বিরক্ত হয়ে রেগে যায়।
তখন আমি ওর ওপর অভিমান করে গাল ফুলিয়ে ঘরে বসে থাকি। তারপর শয়তানি বউটা আমার করে আমার গালে একটা চুমু দিয়ে হেসে ওঠে আর বলে,
আমার স্বামী টা রাগলে খুব মিষ্টি দেখায় পুরো কার্টুনের মতো লাগে । হাহা হা হা (মুচকি হেসে)
এইতো হচ্ছে আমাদের বিবাহিত জীবনের গল্প দিন দিন তার ভালোবাসার আবদার বেড়েই চলেছে আর আমি তার স্বভাব তার যথাযথ ভাবে মিটানোর নতুন কোন আপডেট জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি ।
কারণ আমি জানি আমার এই শয়তানি খারাপ মেয়েটা অধিদপ্তরের মাঝে লুকিয়ে আছে আমার প্রতি তার অনুভূতি অন্তহীন ভালোবাসা।
আজকের মতো এখানে গল্পটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আশা করি ভালোবাসার গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।