খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

আজকে গল্প টি হচ্ছে খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পুরোটা পড়তে থাকুন আর কেমন হয়েছে জানাবেন । প্রতিদিন দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প গুলি পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো করুন আর সঙ্গে থাকুন।

ei  khalato bon jokhon bou romantic valobasar golpo upnader jodi valo lege jai tahole obosoy nichea janaben . golpo ti kamon hoyeche. 

অনেকদিন পরে বেড়াতে গেলাম বড় খালাদের বাসায় অনেকদিন যাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম এবার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার শেষে একটু ঘুরে আসি মনটাও ভালো লাগবে আর খালাতো মা অনেকদিন থেকে আমাকে দেখেনি তাদের ও মনটা ভরে যাবে।

খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প



আমি যে ভাবলাম সেই কাজটা করে দিলাম আর দেরি না করে প্রথমে আম্মুকে বললাম বড় খালাদের বাসায় যাব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল-- 

তোরে কতদিন যেতে বলেছে তুই যাসনি আজ আজকে নিজে থেকে যেতে চাচ্ছে কারণটা কি

কি যে বলোনা মা ঘরে বসে থাকতে আর ভালো লাগে না তাই তুমি বললে যাবো ।


বেসটো তো যা ঘুরে আয়।

তারপরের দিনই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রওনা দিলাম আমাদের বাসা থেকে খালার বাসা যেতে প্রায় চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে আমি দুইটার দিকে গিয়েছিলাম খালার বাসায় খালার 2 মেয়ে আর এক ছেলে বড় মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে তার জামাই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

আর ছেলে অনার্সের প্রথম বর্ষের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে আর ছোট মেয়ে এবার এসএসসি দিয়েছে তারপর সিএনজি থেকে নেমে খালার বাসায় উঠলাম । কলিং বেল চাপ দিলাম কয়েকবার তারপরে খালা এসে দরজা খুলে অবাক কারণ সে হয়তো ভাবতে পারে নি আমি তাদের বাসায় আসব।

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

এখন বাসায় খালা একাই আছে আর খালার ছোট মেয়ে মেঘলা গেছে কোচিনে তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দিলাম একটা ঘুম দেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারছিনা কি করবো ঘুম ভেঙে গেল তাকে দেখে মেঘলা আমার নাক চাপ দিয়ে বসে আছে। 

ও আমার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি করে হাসি দিল সে মনে হয় আমার ঘুম ভাঙিয়ে সার্থক হয়েছে তাই আমাকে মেঘনা বলল ....

আজকে হঠাৎ দেখি চাঁদটা মনে উল্টো দিকে উঠেছে ।

তুইতো গিয়ে চাঁদটাকে ঠিক করে দিয়ে আসতে পারতিস।

একবার যেহেতু কাছে পেয়েছি ঠিক তো করেই ছাড়বো।

বুঝলাম না কি বলিস তুই এসব।

কিছুই না উঠেই আমি ফ্রেশ হইনিই।

কি আর করার ইচ্ছে ছিল না তবুও উঠতে হলো ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ খালার সাথে গল্প করে টিভি দেখতে দেখতে ছিলাম হঠাৎ মেয়েকে নিয়ে স্টার জলসা দিয়ে দিলো আমি বিরক্ত হয়ে উঠে রুমে গিয়ে গল্প পড়া শুরু করলাম কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই মেঘলা হাজির এসে বলল....


এই যে মশাই রেডি হোন ঘুরতে যাবো।

আমি এখন যাব না তোর বিএফ রে নিয়ে যা ।

আচ্ছা সেটাই করতেছি।

তাহলে তুই আমাকে ডিস্টার্ব করছিস কেন?

এই বলে মেঘনার চলে গেল আমি ভাবছিলাম শান্তি পেলাম মনে হয় কিন্তু কথায় আছে না অভাগার কপালে সুখ নাই তেমনি একটু পরে খালা হেসে বলল মেঘলা কয়েকদিন ধরে ঘুরতে যাইনি তুই ফ্রি থাকলে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আয়। 

কি আর করা যাবে বলুন অনেকদিন পর খালাদের বাসায় এসেছি খালার কথা কি ফেলতে পারি । রেডি হয়ে বাইরে গেলাম মনে মনে বলতেছি আজকে আমার মানিব্যাগ শেষ একটু পরেই দুজনে গেলাম একটা হোটেলে আমার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু ওই আমারে নিয়ে গেছে বেশি অর্ডার দেয় শুধু এক প্লেট ফুচকা দিয়েছ । আমি বললাম....

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী

তুই শুধু এক প্লেট অর্ডার দিলে কেন?

আমি আপনার টাকায় খাচ্ছি, তো আপনারা যদি আপনার টাকা খেতে মন চায় অর্ডার দিন।

আমিও এবার এক প্লেট অর্ডার দিলাম আর মনে মনে বললাম সে কত বড় শয়তানি যাই হোক তারপরে বিল দিতে গেলাম তখন মেঘনা বলল....

আজকে আপনি আমার সাথে আসছেন তাই আমি বিলটা দিচ্ছি।

আমি তো এই কথাটা শুনে হেব্বি খুশি তার পরেও আরো অনেক জায়গায় গেলাম অনেক কিছু খেলাম সবকিছুর বেল মেঘলায় দিচ্ছে তাই একটু বেশি খুশি আমি এরপর সন্ধ্যা 7 টার দিকে বাসায় আসলাম।

রুমে বসে বসে ভাবছি যে মেয়ে সবসময় আমারে বাশ দিতে চাই আজ এতো ভালো হলো কিভাবে ভাবতে-ভাবতে মেঘলা এসে হাজির এসে আমাকে ৩০০ টাকা দিচ্ছে । আমি বললাম কিসের ....

এটা আবার কিসের টাকা?

এগুলি খরচ হয়নি তাই দিলাম!

এগুলি আমাকে কেন দিচ্ছিস।

গাধা নাকি আপনি?


কেন গাধার মতন কি করলাম রে বাবা?

মানি ব্যাগটা চেক করে দেখুন একবার।

এটা বলা মাত্র একটা সুন্দর হাসি দিয়ে চলে গেল আর আমি কথাটা শুনে মানিব্যাগটা বের করলাম দেখি সবই ঠিক আছে কিন্তু যখন ভিতরে গেলাম তখনই আমার অজ্ঞান হওয়ার মত অবস্থা 7000 টাকা ছিল এখন 5000 টাকা আছে। 

এতক্ষণ আমার মনে পড়ল আমি তখন টি ভি দেখছিলাম তখন আমার মানিব্যাগটা খাটের উপরে ছিল এখন বুঝলাম আমাকে সব বিল সে কেন দিল মন কিছুটা খারাপ হয়ে গেল তারপর আর কি করার রাতে খেয়ে দিলাম একটা লম্বা ঘুম।

সকালে উঠে নাস্তা করে ভাবলাম বাইরে যাব তাই রেডি হচ্ছি যখন বের হব তখনই মেঘলা সামনে এসে হাজির আমার আগেই খালার কাছে বলতেছে....

আমি আর রমেন ভাই বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি।

বাসা থেকে বের হতে প্রথম এই মানিব্যাগটা চেক করলাম নিশ্চিত হওয়ায় ভালো আবার খাপলা করেছে নাকি।  না এবার দেখলাম সবই ঠিক আছে কিন্তু আমার পাশে । যেভাবে হাঁটছো মনে হচ্ছে ও আমার বউ । আমি একটু দূরত্ব রেখে হাসার চেষ্টা করছি কিন্তু ওর জন্য পারতেছি না । 

একটু পরে দুজনে একটা পার্কের মধ্যে গেলাম ।  চারদিকে তেমন মানুষজন নেই বললেই চলে তারপর সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি করার পর বাসায় গেলাম তবে আজকে বেশি রাতে খাটে বসে ফেসবুকে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় মেঘলা এসে হাজির ।  এসে ও বলল...

মামাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

এই যে মশাই আপনি কার সাথে এত চ্যাটিং করছেন !

আমি একটু ওর সাথে মজা করে বললাম জিএফ এর সাথে কথা বলার সাথে সাথে সে যে আমার রুম থেকে চলে গেল তারপর কেটে গেল একদিন আর তার দেখা নেই ।  কালকে সকালে বাড়িতে চলে যাব তাই রাতে ব্যাগ গুছিয়ে রেডি করে গেলাম একটু টিভি দেখতে । 

গিয়ে দেখলাম মেঘলা রিমোট হাতে করে বসে টিভি দেখছে ।আমিও গিয়ে বসলাম ‌। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ দুটো লাল বর্ণ করে আছে মনে হচ্ছে কতদিন ধরে কাঁদছে কে জানে ।  আমি কিছু বলতে যাব তার আগে রিমোটটা টেবিলে রেখে রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিল। 

কি আর করা যাবে বলুন আমিও স্পোর্ট চ্যানেল চালু করে খেলা দেখতে শুরু করলাম তারপর কিছুক্ষণ টিভি দেখে রুমে গিয়ে ভাবতে লাগলাম আমি কি এমন কিছু বললাম জাতীয় এরকম করতেছে। আমার জিএফ এর কথা শোনার পর থেকেই আমার সাথে কোন কথা বলছে না।  ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।

তার পরদিন সকাল হয়ে গেলো আমাকে এবার নিজের বাড়ি যেতে হবে তাই খালার কাছে বিদায় নিয়ে মেঘলার রুমে একবার গেলাম গিয়ে দেখি মাথার উপর বালিশ দিয়ে শুয়ে আছে আমি চেয়ারের উপর বসে আস্তে করে মেঘলা বলে ডাকলাম কোন কথা বলছে না তারপর আবার বললাম....

এই মেঘলা আমি চলে যাচ্ছি তুই তোর জামাইরে নিয়ে বেড়াতে আসিস।

চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

হ্যাঁ আপনি এখানে থাকবেন কেন প্রেমিকা ছাড়া কি এখানে ভালো লাগে । জান জান চলে যান, আর কখনো আসবেন না এখানে। 

তারপর আমি মুচকি হেসে বললাম।

এখন তবে যাই আর হ্যাঁ সত্যি বলতে আমার কোন জিএফ নাই । তোর সাথে একটু মজা করছিলাম ভালো থাকিস।

এটা বলে চলে আসলাম । বাড়িতে এসে কোন কিছুতে ভালো লাগছে না । সবকিছুতে মিস করছে আসলে ওরা অনেক মিস করছি এটা কি ভালোবাসা বলে কে জানে । আমারও মনে হচ্ছে ওকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু ওরে কিভাবে বলবো এসব কথা ভাবতে ভাবতে কেটে গেল প্রায় এক মাস।

তারপরে রাতে খাওয়ার সময়ে আম্মু বলতেছে সামনের মাসের 20 তারিখে আমার নাকি বিয়ে কিন্তু তখনও আমি আম্মুকে মেঘলার কথা বলতে পারছিনা আর আমারও তো এখনো কোন কাজ কাম করে না তাহলে আম্মু আমার বিয়ে নিয়ে লাগলো কেন আম্মুকে আমি বললাম...

আমি এখন কোন কাজ কাম করি না আমি এখন বিয়ে করতে পারবোনা।

তোমার আব্বুর যা আছে তাতে পরিবারের সদস্য একজন বললেও কিছু হবে না।

আবেগি ভালোবাসার গল্প

তারপরেও সম্ভব না আমি এখনো পড়ালেখা করতেছি যখন পড়ালেখা শেষ হবে চাকরিও হবে তখন ভেবে দেখবো বিয়ে নিয়ে বুঝেছেন মা ।

তারপরে কিবা করার আছে বলুন জিদ করে আমিও কেউ কোন এটা দেখতে চাই নি কালকে নাকি আমার বিয়ে দিন চলে এসেছে কাছের বন্ধুরা সবাই এসেছে প্রায় কে বলছে তুই তো সবার আগে কাজ সেরে ফেললে কিন্তু কেউ আমার মনের খবর বুঝতেছেনা সকালবেলা সবাই রেডি হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার যাওয়ার জন্য। 

কিন্তু আমি কই যাচ্ছি নিজেও জানিনা আব্বু আম্মার কথা ভেবে কিছুই করতে পারছি না না আমরা সবাই কমিউনিটি সেন্টারে চলে যাচ্ছি কোনে নাকি ওখানে আসেনি ইউটিউব পারলে না কি সাজুগুজু করতাছে কিছুক্ষণ পরে আসতেছে আমি এখন পর্যন্ত আমার হবু বউ কেউ দেখেনি একটু পরপর বন্ধুরা এসে বলতেছে....


শালা জীবনে একটা প্রেম করতে পারিনা আর তুই এত সুন্দরী বউ কিভাবে পাইলি?

আর এক বন্ধু আমাকে সে বলল...

তোর কি কোন শালী আছে নাকি থাকলে আমার সাথে লাইনটা করিয়ে দিস।

নানান জন আসছে নানান কথা শুনতে শুনতে বিয়ের কাজটা হয়ে গেল এখন বাড়িতে আসার পালা আমি আগে গাড়িতে উঠে বসে গেছি কিছুক্ষণ পর আমার বউটা উঠল গাড়িতে বিরাট বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে আর আমিও বসে বসে ভাবতেছি বিয়েতে গেছি শেষে দেবো কান্না করে গাড়িতে উঠে। 

কিন্তু আমার বউ কান্না কি সেটা মনে হয় জানি না মনে হলে সে হাসতে হাসতে গাড়িতে উঠলো কিন্তু এত কিছু হল কিভাবে আমি কোনভাবেই মেঘলাকে ভুলতে পারছিনা না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাছি এমন সময় আম্মু ডাকছিল ।তাই বন্ধুদের বিদায় দিয়ে আম্মুর কাছে গেলাম। আম্মু বলল...

বৌমা কখন থেকে রুমে একা একা বসে আছে যা এখন রুমে যা । 

মিষ্টি প্রেমের কাহিনী

আমার তো এখন ভয় লাগতাছে বৌ আমার কেমন হবে কে জানে ? নরম নাকি গরম সেটা আল্লাহই জানে। ভয় পেয়ে গেলাম রুমে দেখি ঘরের সব লাইট বন্ধ আমিও আস্তে আস্তে গিয়ে খাটের উপর বসলাম। বউ আমাকে প্রথম কথাকেই ধমক দিয়ে বললো...

দরজা টা লক করে আসেন।

আমি তো আরো বেশি ভয় পেয়ে গেলাম দরজা লক করে আসলাম আর বউ কিছু বলার আগেই আমি বলা শুরু করলাম।

দেখেন আমি একজনকে ভালোবাসি

কি , তাহলে আমাকে বিয়ে করলেন কেন?

আম্মুর জন্য

তা কাকে ভালবাসেন আপনি?

মেঘলাকে।

এখন তাকে ভুলে যান এখন থেকে আমাকে ভালোবাসবেন

আমি এটা পারবোনা।

কি বললি তুই তুই আমারে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর এখন আমারে বলতেছিস ভালোবাসবি না ।

এটা বলে লাইটটা জ্বালিয়ে দিল আমিতো ভূত দেখার মত হয়ে গেলাম এটা মেঘলা কিভাবে সম্ভব আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না । তারপরে ও সব আমাকে বলল এটা নাকি আম্মু আর মেঘলা মিলে প্ল্যান করেছিলো । তার মানে ও আমাকে পটানোর আগে আম্মু কে পটিয়েছে। 

তারমানে আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।


তো আমাদের আজকের খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প টি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর নেক্সট ভিডিওর জন্য অবশ্যই নিচের লিংকে ক্লিক করুন। 

আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে। 


Previous Post
Next Post
Related Posts