বাসর রাতে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসার গল্প

              বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প


*হ্যালো বন্ধুরা আমি এই পোস্টে আপনাদের কে একটা সুন্দর বাসর রাতে বিয়ে রোমান্টিক গল্প দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা প্রেমের কাহিনী রোমান্টিক মিলনের গল্প শোনাতে চাই । আমি আপনাদের প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা বা রোমান্টিক প্রেমের ফুলশয্যার গল্প শুনাতে চাই । তো শুনতে থাকুন ।বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প বা  বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প শুনতে থাকুন ৷ রোমান্টিক ভালোবাসার রাত এর ছোট গল্প শুনাতে থাকুন।

 * আজ সুজন ও পায়েলের বাসর রাতবাসর রাতটা ওদের চমৎকার ভাবে কথপোকথন করে কাটছে । বিচিত্র রঙের রঙিন ফুলে সজ্জিত বিছানায় দুজন পাশাপাশি বসে নতুন এক স্বপ্নের রাজ্যে প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করে চলেছে । দুজনের অন্তর আজ এক হয়ে গেছে । দুজনে মিলে ঠিক করেছে আজকের এই মধুর রাতটা সত্যিকার অর্থেই মধুর করবে, প্রেম-ভালোবাসা-দেহ-মন আদান প্রদানের মাধ্যমে সারারাত কাটিয়ে দেবে, এক মুহূর্তও ঘুমাবে না তারা এটাই ভাবছে । অথচ ওদের বিয়েটা আজকালকার মত প্রেমের বিয়ে না । পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়েছে । কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে এক জানে আর একজন জানে যে সেই ছেলেটাই তাকে আজ বিয়ে করেছে তো চলুন আজ আপনাদের তাদের বাসর রাতে রোমান্টিক গল্পের কথা শুনাতে থাকি ।

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,


বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প


 অল্পসময়ের মধ্যে একে অন্যকে অন্তর দিয়ে ভালোবেসে ফেলেছে । সুজন পায়েলকে এখন বুকের সাথে আলতো করে জড়িয়ে রেখেছে । পায়েল গালে-মুখে-কপালে চুমু খাচ্ছে । পায়েল কিছুটা লজ্জা পেলেও ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিচ্ছে, দু’চোখ বুঝে সুজনের গালে একটা চুমু খেল । এখন দুজন বিছানায় শুয়ে পড়ল। সুজন পায়েলকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলল, তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি প্রিয়তমা গো । সারাজীবন এই ভাবে তোমাকে ভালোবাসে যাবো ।

 এর আগে আমি কোন মহিলাকে ভালোবাসতে পারি নি এমন কি কোন মেয়ের দিকে তাকাই নি কোন দিন। কোন মেয়েও আমাকে ভালোবাসে নি। আমার ইচ্ছে ছিল যে যাকে ভালোবাসোবো তাকে বিয়ে করবো । সেটা টো হল  তাই সব ভালোবাসা তোমার জন্য রেখেছি। পায়েল বলল, কোন মেয়েকে ভালোবাসতে পার নি কেন ?


 সুজন বলল, একজনকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে আমাকে ভালোবাসে নি। পায়েল তুমি কাউকে ভালোবাসতে? নিঃসন্দেহে বলতে পারো আমি কিছু মনে করবো না ।  পায়েল বলল না তবে একটা ছেলে আমার সাথে প্রেম করার চেষ্টা করেছিল ।

 সুজন : তুমি কী করলে তাকে  ?
 পায়েল : আমি তার কথায় রাজি হই নি ।
 সুজন : কেন কীসের জন্য ঘটনাটা খুলে বল আমাকে আমি জানতে চাই ছেলেটি কে ,কোথা কার ,কী বা করে। তবে বলতে না চাইলে থাক ।
বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প


 পায়েল : খুলেই বলি নইলে তুমি আমাকে ভুল বুঝতে পারো ! কেন আমি না বলেছিলাম।

 সুজন : দূর বোকা মেয়ে ! তোমাকে আমি প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি । ভুল বুঝব কেন সোনা?

 পায়েল : তারপরেও খুলে বলি, আমি কোন কথাই গোপন রাখতে চাই না তোমার কাছে ,যা তুমি আমাকে ভূল না বুঝো ।  ছেলাটার নাম অজয় বলেছিল। আমি তাকে কখনো দেখি নি। মোবাইলে তার সাথে পরিচয়। আমাকে কল করে প্রথমে বন্ধু হতে চেয়েছে । আমি ভালমন্দ তেমন কিছু বলি নি তাকে। এমন তোও আমি ফোনে বেশিক্ষন কথা বলতে ভয় পেতাম । কারণ মা আমাকে বারন করেছিল । তবে সে মাঝে মাঝে কল করে প্রায় জোর করেই আমার সাথে কথা বলত ।একদিন তো প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফেলল সেই ছেলেটা । আমি আগে কিছু না বললেও এবার সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করলাম ।
সুজন বলল, প্রত্যাখ্যান করলে কেন তুমি? ছেলেটা কি দেখতে ভালো নয় । না কি অন্য কিছু ‌?

 পায়েল বলল, প্রেম জিনিসটা আমার কখনো ভালোচোখে দেখা হয় নি। আর পরিবার থেকেও প্রেম করতে নিষেধ ছিল ।কারণ আমার বড় দুইবোন প্রেম করে বিয়ে করে সুখি হতে পারে নি । অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে । অন্যদিকে আমার এক বান্ধবী প্রেম করে প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাই তুমিই বল এ অবস্থায় পরিবারের কথা অমান্য করে প্রেম করার সাহস আমি কোথায় পাব ?

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,


রোমান্টিক প্রেমের গল্প




 সুজন : ছেলেটাকে তা কি বলেছিলে ? 

 পায়েল : কিছু বলিনি, শুধু বলেছি যে বিয়ের আগে আমি করো সঙ্গে প্রেম করব না । আমি শুধু আমার স্বামী কেই ভালোবাসবো। তার পর ?

 সুজন : তার পর কী ? ছেলেটি কী বলল ?

 পায়েল : প্রথমে খুব অনুরোধ করেছিল আমাকে । কেন প্রেম করব না জানতে চেয়েছিল আমার কাছে।  কিন্তু আমার এক কথা, আমি প্রেম করব না। তার পর থেকে সে ফোন করা বন্ধ করে দেয়।তারপর হঠাৎ একদিন ছেলেটা আমাকে হুমকি দিয়ে বললো, দাঁড়া তোকে বিয়ে করে তোর সাথে প্রেম করব। মনে রাখিস কিন্তু । আমি বলেছিলাম , আচ্ছা যা ! যা পারিস করে নিস ।

 সুজন-: এরপর কী হল?

 পায়েল : আর কিছু হয় নি । সে আর আমাকে কল করেনি। আমার তো আর তাকে কল করার প্রশ্ন আসে না। এখন কল দিয়ে বলা লাগে, কীরে? আমায় বিয়ে করেছিস না ? আয় প্রেম কর। তবে শুনে রাখ পাগলা, আমার বিয়ে হয়ে গেছে, এখন আমি আমার স্বামীর সাথে বাসর রাত  কাটাচ্ছি।

ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প



 সুজন : তাহলে কল করে বল ওকে ।

 পায়েল : কী দরকার কল করার পাগলাটাকে ? ও কথা তো এমনি বললাম । আমি ওকে আর কখনো মনে করতে চাই না গো । আমি জিতে গেছি ও হেরে গেছে, ব্যাস এখানেই তার ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প শেষ ।

 সুজন : শেষ হবে না তো  ।ও তোমার সাথে সারাজীবন ফেবিকল আঠার মতো লেগে থাকবে যতদিন সে বাঁচবে ।

 পায়েল : ইস! এত সোজা নাকি। তাহলে ওকে আমি আর আস্ত রাখব না যদি সে আমাদের সম্পূর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে চাই ।

 সুজন : ভালোবাসবে ,জড়িয়ে রাখবে ।

 পায়েল : তুমিও ঐ পাগলটার মত কী বলছ গো ? নাকি সন্ধেহ করছো ওর সাথে আমি প্রেম করেছি ,এখনো করছি তুমি কি মনে করো।


বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

 সুজন : না না , তোমাকে সন্ধেহ করব কেন ? তুমি ফুলের মত পবিত্র একটা মেয়ে। তুমি ওকে কল করে শুধু বলবে যে তুমি এখন আমার সাথে বাসর ঘরে বসে স্বামীর সাথে রোমান্টিক গল্প করছো ।

 পায়েল : ঠিক আছে তোমার কথা শুনেই কিন্তু ফোন টা করছি  । পায়েল ছেলেটার নম্বর মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। মোবাইলে নম্বর উঠিয়ে কল দিল, একটু পর রিং বাজল । তখনই সুজনের মোবাইলটা বেজে উঠল। সেটাও পায়েল কাছেই ছিল । একহাতে সেটা তুলে বলল, তোমার মোবাইলটাও বাজছে । বলার সাথে সাথে মোবাইলের স্কিনে নাম দেখল, নীলাঞ্জনা (পায়েল) এবং পায়েলের মোবাইল নম্বর।

 পায়েল হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল সুজনের দিকে ।

 সুজন বলল, কী ব্যাপার ? কী হয়েছে ? পায়েল হতভম্ব ভাবটা এখনো কাটে নি । সুজন বলল, বুঝেছি তোমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে । শোন, সেই পাগলাটা হারে নি, যা বলেছে তাই করে দেখিয়েছে কিন্তু  । পায়েল হেসে বলল ,ওরে শয়তান পাগলা আমার ! তুমিই সেই ছেলেটা ? সুজন এবার পায়েলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, ইয়েস ম্যাডাম, আপনার জন্য আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম ।

 যখন বুঝলাম প্রেমের পথে হবে না তখন সিদ্ধান্ত নিলাম এর চেয়েও সহজ পথ আছে, ঘটকের মাধ্যমে বিয়ে করতে হবে আপনাকে । পায়েল একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, ভালো করেছেন ! আসলে আমারও তখন মাঝে মাঝে আপনার কথা শুনে প্রেম করতে ইচ্ছে হতো । আপনি এত মধুর মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন আর খুব ভালোও ছিলেন ।

 আপনি আমাকে এত ভালোবাসতেন, খুব অনুতপ্ত ছিলাম। সারাজীবনই একটা অপরাধবোধ কাজ করত । যাক বাঁচা গেল, যতটুকু ভালোবাসা দিয়েছেন ততটুকু ফিরিয়ে দেবার পথ হয়ে গেল । সুজন বলল, আসলে আমি তোমাকে না পেলে বাঁচতাম না গো আমার জান । তাই এই পথের আশ্রয় নিয়েছিলাম। পায়েল বলল , আমারও এখন মনে হচ্ছে তুমি আমার জীবনসাথী না হলে আমিও বাঁচতাম না ।

রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প


 সুজন পায়েল ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে ওকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলল, যে ভালোবাসা এতদিন পাই নি তা আজ আদায় করে নেব। পায়েল সুজনের বুকের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে বলল, এতদিন যত কষ্ট দিয়েছি তোমাকে আজ একদিনেই তোমাকে তার হাজারগুণ ভালোবাসা দিতে চাই । এরপর ওরা মধুর এক ভালোবাসার জগতে চলে গেল । হাজার বছর ওরা সেখানে থাকতে চায় । আজ বাসর রাতের ভালোবাসার মাধ্যমে সেই জগতের শুরু । এই ভাবে তাদের একটা সুন্দর রোমান্টিক প্রেমের ভালোবাসার বাসর রাত চলতে থাকলো ।

তে বাসর রাতে এই রোমান্টিক গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট জানাতে কিন্তু ভূলবেন না । দেখা হবে পরের এক গল্প টি পড়তে Click Korun বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প তে ।
Previous Post
Next Post
Related Posts