পিচ্চি মামাতো বোন যখন বউ। বাসর রাতে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসার গল্প

               পিচ্চি মামাতো বোন যখন বউ

*হ্যালো বন্ধুরা আমি এই পোস্টে আপনাদের কে একটা সুন্দর বাসর রাতে বিয়ে রোমান্টিক গল্প দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা প্রেমের কাহিনী রোমান্টিক মিলনের গল্প শোনাতে চাই । আমি আপনাদের প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা বা রোমান্টিক প্রেমের ফুলশয্যার গল্প শুনাতে চাই । তো শুনতে থাকুন বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প বা  বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প শুনতে থাকুন ৷ রোমান্টিক ভালোবাসার রাত এর ছোট গল্প শুনাতে থাকুন।


আজকের গল্পটি সব থেকে আলাদা প্রথমেই বলি আমার নাম রাহুল আর আমার স্ত্রীর নাম ভাবনা তো এই গল্পটি মন দিয়ে শুনতে থাকুন গল্পটি মন দিয়ে পড়তে থাকুন ।
বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত, বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প


 পিচ্চি মামাতো বোন যখন বউ:-

রাহুল:-- বাড়ির মেন ড্রেস কাছে সবাই দাঁড়িয়ে আছে । বাসার গেটের সামনে আসতেই পিচ্চি মামাতো বোন । না না ছি ছি কি বলছি এখন সে আমার বউ । ভাবনা দৌড়ে এসে আমার সামনে দাঁড়াল। 
 ভাবনা:- রাহুলদা রাহুলদা কেমন আছো তুমি। 

 রাহুল:-- সবার সামনে এভাবে দাদা বলে ডাকে আমি গলা খুস্কালাম। এটা দেখে সবাই লজ্জায় মাথা নিচু করে নিল। ভালো আছি তুই কেমন আছিস চিমরি । 

 ভাবনা:- দেখ তুমি আমাকে আর চিমরি বলে ডাকবে না । বুড়ি বলেছে আমি এখন বড় হয়ে গেছি । 

 রাহুল:-- ভাবনা আবার নানিমাকে বুড়ি বলে ডাকে । আচ্ছা তাই ।

 ভাবনা:- চলো চলো দেখছো সবাই তোমাকে ডাকছে । সেই কখন থেকে তোমার জন্য এখানে সবাই অপেক্ষা করছে । 

 রাহুল:-- ভাবনা আমায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে সবার কাছে ততক্ষনে বলি এখন বিকেল পাঁচটা আমি কলকাতা থেকে দার্জিলিং মানে আমার মামারবাড়ি । সরি 🤓🤓 সরি 🤓😀 শ্বশুর বাড়ি আসছি যদিও কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি আসতে চাইনি । কিন্তু ফোনে মা অনেক কান্না করছে আর অপেক্ষা করতে পারলাম না । তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য চলে এলাম ।তার আগেই বলি আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা করে এখন একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। 

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প



 রাহুল:- প্রথমেই বলি আমার মা-বাবা এখানেই আছে তাই বাড়িতে না যে সোজা মামার বাড়িতে আসছি কারন আমার নানী মা হঠাৎ অনেক অসুস্থ হয়েছে । আমাকে একবার দেখতে চাই তার ইচ্ছা । ভাবনা আমাকে একবারে টেনে আনছে সবাই কাছে চল তুমি রাহুল দা । সবাই আমার অপেক্ষা করছিল ‌। এটাও একটা ভালোবাসার প্রকাশ মাধ্যম মাত্র আমি আসছি শুনলে । তারা গেটের কাছেই এসে দাড়িয়ে থাকে । সবাইকে প্রনাম বিনিময় করে নানিমার রুমে আসলাম । দেখি উনি শুয়ে আছে । বয়স হয়েছে তার অসুস্থতার প্রায় থাকে । তার সাথে অনেক কথা বললাম আমার আনা নানীমার জন্য খাবার তাকে দিলাম সে তৃপ্তির সাথে খেলো আসলে আমার দাদা দিদি নানা কেউ নাই গত হয়েছেন অনেক আগেই এই নানী মা এখন একমাত্র আছেন । রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বের হতেই ভাবনার আগমন হলো।

 ভাবনা:- রাহুল দা তোমার হল !! ইস (চোখে হাত ঢেকে ) ছী রাহুল দা তুমি খালি গায়ে রুমে রুমে ঘুরে বেড়াচ্ছো । 

 রাহুল:-- খেয়ে ‌দেয়ে আমার কাজ নাই এরূম আর ওরুম ঘুরে বেড়ানো ছাড়া? এখানে কেন এসেছিস বল ? 

 ভাবনা:- তোমার কাছে এসেছে কি সাধে ? আর তাছাড়া এটা আমার রুম তোমাকে খেতে ডাকছে খুশি তাই ডাক এসেছে আর ঢং দেখাতে হবে না চলো নিচে? 
 রাহুল:-- ও আচ্ছা হয়েছে আর তোকে লজ্জা পেতে হবে না তোর চোখের থেকে হাতটা সরাতে পারিস। 
 ভাবনা:- রাহুল দা একটা কথা বলবো তুমি তো সবার জন্য কিছু না কিছু এনেছো । আমার জন্য তো কিছুই আনোই নাই।  
রাহুল:- চিমরি তোর জন্য আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু কি করবো বলো ব্যাগে আর জায়গা ছিল না তাই আনা হয়নি রে। 
 ভাবনা:- ও আচ্ছা (মুখ ভারি করে)! ঠিক আছে তাহলে চলো তুমি খাবে চলো? 

ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প


 রাহুল:-- তারপরে যে সবার সাথে খেয়ে রুমে আসছি এখন একটা লম্বা ঘুম দেওয়ার ইচ্ছে কিন্তু ঘুম আর আসছে না ভাবনারও কোন খোঁজ খবর নাই বসে বসে ভাবছি আমাদের সেই বিয়ের কথা তবে চলুন যাওয়া যাক। ফ্ল্যাশব্যাকে আমি তখন চাকরি পাওয়ার খুশিতে বাসায় ফিরছিলাম কলকাতা থেকে কাউকে কিছু না বলে কিন্তু বাসায় এসে কাউকে না পেয়ে মাকে ফোন দিলাম মা খুব চিন্তিত কন্ঠে বলল । তারা হাসপাতলে আছেন। শুনে দ্রূত ছুটে গেলাম তাদের কাছে সবাই থেকে শুনতে অনেক খারাপ লাগে। মা টুনির কি হয়েছে গো।

 মা:--রাহুল আমাদের অনেক বড় বিপদ হয়েছে রে।

 রাহুল:-- কি হয়েছে মা তুমি আমাকে খুলে বলো তো।

 মা:-- রাহুল ভাবনার একটা fallopian tuabe কেটে ফেলা হয়েছে । (ফেলোপিয়ান টিউব হলো বাচ্চা জন্মানোর থলি) 

 রাহুল:-- কিন্তু কী কারণে।

 মা:-- পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে সমস্যা তৈরি হয়েছে এখন সেটাই অপারেশন করে কেটে ফেললে পরবর্তীতে ক্যান্সারের কারণ হতে পারত সে জন্য কেটে ফেলা হয়েছে। 

 রাহুল:-- মা এটাতে এত চিন্তার কিছু নাই তোমরা শান্ত হও আমি ভাবনার সাথে একবার দেখা করে আসছি। ভাবনা বেডে শুয়ে আছে মুখটা অনেক শুকিয়ে গেছে সেলাইন টানছি কপালে অন্ড ব্যান্ডেজ আমি মাথার কাছে বসে আস্তে করে ডাকবি চিমরি ...,? 

বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্


 ভাবনা:- রাহুল দা! তুমি আইসো?
 রাহুল:-- হুম হুম ভাবনা:- দেখনা এরা আমাকে অনেকক্ষণ ধরে শুইয়ে রেখেছে একটু উত্তর দিচ্ছ না তুমি একটু ওদেরকে বলনা? গত কয়েকদিন থেকে এভাবে শুয়ে আছি আমার আর ভাল লাগছে না। 

 রাহুল:-- চিমরি এত চঞ্চল কেন তুই তোর কি খেয়ে দেয়ে আর কাজ কাম নাই ধরে গাছে উঠে গেছিস ? এখন যে পড়ে গেছিস পেটে এক সাইডের ইটের আঘাত পেয়েছিস ? তুই কি জানিস তোর কতটা ক্ষতি হয়েছে? 

 ভাবনা:- আমি জেনে কি করব বল ? আমার তো ওই গাছের পেয়ারা খুব পছন্দ । বাবাকে বলেছিলাম পেরে দিতে বলল তুই নিজে পেড়ে খা । আমিও হুট করে গাছে উঠে গেছে জানতাম কি আর ভুতে আমারে গাছ থেকে ফাইলাই দিবে আর এখানে হসপিটালে এভাবে শুইয়ে রাখবে। 

 রাহুল:-- আচ্ছা তাই 

 ভাবনা:-হুমমম। 
 রাহুল:-- ওরে ঐ ঠোঁট বাঁকানো অভিমানের সুরে কথা আমার বেশ ভালো লাগছিলো । পিচ্চি একটা তারপর পিচ্চিটার সাথে কথা বলে অনেক সময় পার করে ছিলাম । শুধু আমি নয় মামা মামি বাবা-মা সবাই এটা নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিল কারন একটা টিউব কেটে ফেলা মানে বাচ্চা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি এটা না থাকে আরো বন্ধ্যত্ব নারী বলা সমান ভাবনাকে কয়েকদিন পর বাড়ি নিয়ে আসে অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। তবে ভাবনা তখনও এগুলো কিছু বোঝেনা অনেক ছোট যে মেয়েটা তখন চিন্তায় সবাই বেড়েই চলছে ভাবনা মাতৃত্ব নিয়ে টানা পড়া কে বিয়ে করবে এই সব শুনলে ওর ভবিষ্যৎ কি হবে আমারও চাকরিতে জয়েন এর তারিখ এগিয়ে আসছে সেইজন্য আমার আবার চলে যেতে হবে তাই আরেকবার ওকে দেখে মামার বাসায় যায় মা-বাবাকে নিয়ে কিন্তু সেদিন যে দেখে ভাবনা বসে কান্না করছে কারো কথা শুনছে না খাচ্ছ না দরজা বন্ধ করে বসে আছে তাই আমি যেয়ে চেষ্টা করি । আমার সোনা দরজাটা খোল দেখো তুমি কিন্তু তাহলে আর আসবো না কখনোবোন? 

 ভাবনা:- রাহুল দা ঐ রুমির মা বলেছে আমার নাকি কখনো বিয়ে হবে না ? আমি নাকি কখনো মা হতে পারবোনা? আমি নাকি বন্ধ্যা ? আমি না খারাপ। মা বাবার কপাল পুড়িয়েছি? তুমি বলো আমি ভালোনা? 
 রাহুল:-- কিন্তু ঐদিন ও কিছু না বুঝেই সে কি কান্না করলো । বাসার সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ায় সবাই এটা নিয়ে রীতিমতো কানা ঘুসা করতে লাগল আমার মা সেখানে সবাইকে কথা দিয়ে দিলো যে তার ছেলে মানে আমি ওই টুনিকে বিয়ে করবো। মা তুমি এসব কি বলছ তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি তুমি আমার বোন হয় আর তার থেকে বড় কথা আর ও অনেক ছোট? 

 মা:-- আমি তোর আজে বাজে কথা শুনতে চাই না এটাই আমার শেষ কথা ও ছোট বিয়ে হলে এমনিতেই সব বুঝে যাবে। 

 রাহুল:-- ব্যাস সেদিন সকালে আমাদের বিয়ে দিয়ে দিল সবাই আর বিকালে আমি রওনা দিলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে তার পর থেকে আমাকে বাড়িতে আসার জন্য সবাই রিকোয়েস্ট করে কিন্তু আমি চাকরির অজুহাতে প্রায় বছর হতে যাচ্ছে আসেনি । বাড়িতে এবার আসতেই হলো। বর্তমানে... কারো পায়ের আওয়াজ এর ভাবনার জগত থেকে ফিরি । ভাবনার দিকে চোখ যেতেই আমার চোখ টুক করে বেরিয়ে যায় ভাব ‌ । কারণ পুরো বউ সেজে আছে ভাবনা ইচ্ছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে মা । মাকে ডেকে একটু লজ্জা লাগছে আমার কি কপাল মা তার বউকে নিয়ে আসছে ছেলের কাছে বুঝে দিতে । হিসাবে আজ আমার বাসর রাত কি বলা যায় আরকি।

রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প

তে বাসর রাতে এই রোমান্টিক গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট জানাতে কিন্তু ভূলবেন না । দেখা হবে পরের এক বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প তে । 

আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তো নেক্সট পার্টির জন্য অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন আপনাদের লাগবে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে ।
Previous Post
Next Post
Related Posts