রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | রোমান্টিক প্রেমের গল্প

হ্যালো বন্ধুরা আমি এই পোস্টে আপনাদের কে একটা সুন্দর বাসর রাতে বিয়ে রোমান্টিক গল্প দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা প্রেমের কাহিনী রোমান্টিক মিলনের গল্প শোনাতে চাই । আমি আপনাদের প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা বা রোমান্টিক প্রেমের ফুলশয্যার গল্প শুনাতে চাই । তো শুনতে থাকুন ।বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প বা  বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প শুনতে থাকুন ৷ রোমান্টিক ভালোবাসার রাত এর ছোট গল্প শুনাতে থাকুন।

     রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প  



তুমি আমাকে আর আগের মতো ভালোবাসো না গো ।

কেনো তোমার এমন মনে হলো প্রাণসখী ,,?

যদি আমাকে ভালোবাসতে তাহলে আসার পথে ঐ শাক্চুন্নি ডাইনি মেয়েটার দিকে তাকাতে না।
(এতক্ষণে বুঝলাম ম্যাডামের রাগ করার কারণ)
(প্রতি রবিবার ছুটির দিনে ম্যাডামকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ফুচকা, আইসক্রিম খাওয়া নিয়ম হয়ে গেছে।আর এই নিয়ম ম্যাডাম নিজেই করেছেন।আর এই নিয়ম চলে আসছে সেই প্রেম চলাকালীন সময় থেকে।আর বিয়ের সময়তো এগুলোই ছিলো ম্যাডামের প্রধান শর্ত।)
অহ Sorry বন্ধুরা আপনাদের তো পরিচয় দেওয়া হয়নি,,আগে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিই।

আমার নাম সুজন,,,বাড়ি ফরিদপুর । আমি একটা ছোট কোম্পানীতে চাকরি করি।আর এতক্ষণ যাকে ম্যাডাম বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি সে আর কোনো অফিসের ম্যাডাম নাহ গো । ওনি আমার ম্যাডাম। মানে আমার সাত পাকে বাঁধা ও খালি হাইরোদে লাল স্ট্যাম মাড়া বিয়ে করা বউ। তাকে বন্ধুমহলে ম্যাডাম বলে পরিচয় দিতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি তাইতো গো ।)

(যেহেতু আজ রবিবার। রোজকার মতো আজও গিয়েছিলাম ওকে নিয়ে ঘুরতে । খুব মজাও করেছি সারা বিকাল ঘুরে যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন একটা ময়দা মাখা সুন্দরীকে দেখলাম।আর ঐ মেয়েটা দেখতে আমার কলেজের একটা বান্ধবীর মতো।তাই দেখা।কিন্তু কখন যে রিয়া(আমার বউয়ের নাম) তা দেখে পেলেছে তা বুঝতে পারিনি।তাই উপরের কথাটা বলেছে।)


আপনাদের সাথে অনেক কথা হলো,,,এইবার যাই ম্যাডামের রাগ ভাঙাতে হবে নাহলে রাতের খাবার বন্ধ😢😢 করে দিবে কিন্তু । আমি কিন্তু না খেয়ে বেশীক্ষন থাকতে পারি না ।

ম্যাডাম রান্না ঘরে রান্না করতেছে।
পেছনদিক থেকে জড়িয়ে দরে চুলে মুখ গুজে দিলাম আর sorry বললাম ।প্রথমে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও পরে আর করেনি।কারণ, সে ভালো করেই জানে চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবেনা।

আরে একি ম্যাডাম কান্না করছে,,
বিয়ের পর এই প্রথম সে কান্না করছে,,
যদিও বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হয়েছে,,,কিন্তু বিয়ের পূর্বে আমাদের রিলেশনশিপ ভালোবাসা ছিলো দুই বছরের বেশি সময়।
চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আমার সুবিধার্থে বাবা মা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো।যেহেতু বাবা-মা গ্রামে থাকে,,,আর আমি চাকরির জন্য ঢাকা শহরে থাকি।
আর আমিও সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে রিয়ার কথা বলি,,যাকে বলে এক ধিলে দুই পাখি ।যদিও মা রিয়ার কথা আগে থেকেই জানতো।কারণ মা হচ্ছে আমার সব সেরা বন্ধুদের মধ্যে একজন।আমার মনে কি চলছে,কখন কি করি না করি সবকিছু মা নিজে থেকেই বুঝতে পারেন।আর আমিও মায়ের সাথে সবকিছু প্রাণ খুলে শেয়ার করি একেবারে বন্ধুর মতন ।
অনেক কথাই বলা হলো,,,এইবার গল্পে ফেরা যাক।

রিয়াকে আমার দিকে ফিরিয়ে চোখের পানি মুছে কপালে ভালোবাসার একটা চুমু পরশ একে দিলাম।

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,

রোমান্টিক প্রেমের গল্প


তারপরও আমার দিকে তাকাচ্ছে না।

কি হলো লক্ষীটি এমন করছো কেনো,,,?
(আপনারা কি ভাবছেন,,,সেই কেমন ডায়লগ দিবে..?তাহলে ঠিকই ভাবছেন।)

যাও ঐ শাকচূনী ডাইনি মেয়েটার কাছে যাও,,,

কী কোন মেয়ের কাছে,?(যদিও ভালো করেই জানি কার কথা বলছে)

কেনো আসার সময় আমাকে ছেড়ে যার দিকে তাকায়ে চোখ মায়াবী হয়ে পড়ছে তার কাছে যাও,,ঐ শাকচূনী ডাইনিটার । ,

আমি বললাম ইচ্ছে করে তাকাইছি নাকি,,?

আমি ইচ্ছে করে তাকাইছি নাকি(মুখ ভেঙিয়ে)তাহলে কেনো তাকাইছো শুনি?

আরে ঐ মেয়েটাকে দেখে মনে হলো আমার কলেজ ফ্রেন্ড।তাই দেখে সিওর হচ্ছিলাম তুমি রাগ করোনা প্লীজ ।

যেই হোক,,,আর তাকাবো ok কান ধরে বলছি ক্ষমাকরে দেও কেমন,,,?

আমি : ওকে এইবার থেকে কোথাও বের হলে চোখে চশমা দিয়ে বের হবো,,,

স্ত্রী : কি বললা,,,(প্রচুর রেগে।মনেহচ্ছে এইবার আমার দফা ঠান্ডা)

এখন থেকে চশমা পরে বের হবো।যাতে কারো দিকে তাকাতে না পারি।

চশমার ফাঁক দিয়ে অন্য মেয়ের দিকে তাকাবা যাতে আমি বুঝতে না পারি,,,,ওসব হচ্ছে না চান্দু।(রিয়ার কথা শুনে সত্যি এখন নিজেকে গাছ বলদ মত মনে হচ্ছে।কইলাম কি আর বুঝলো কি😥😥)
আর কথা না বাড়িয়ে জরিয়ে ধরে রাখলাম।এই মেয়ের সাথে কখনও কথায় পেরে উঠতে পারিনি পারবো না ।তাই যুদ্ধে না গিয়ে আত্মসমর্পণ করাই শ্রেয় ভাবলাম ।অবশ্য এই আত্মসমর্পণে কোনো লজ্জা নাই।আমরা আমরাইতো😃😃😃 ভাই নিজের তো বউ । যদি রাতে ভালোবাসা না পাই । তাই-

হয়েছে এখন আর ডং করতে হবে না ছাড়ো।

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,

ভালবেসে বিয়ে করার গল্প


No mam.ছাড়াছাড়ি হচ্ছে না।

আমি রান্না করছিতো,,,(আহ্লাদী সুরে)

তো রান্না করো।আমি বারন করছি,না ,,

এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখলে রান্না করবো কিভাবে,,,

এভাবেই রান্না করো।আমি ছাড়ছি না। আমি ধরেই থাকবো

দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা,,,,

হুমমমমমমম,,,,,,উফফ(হাত ঝাড়ি দিয়ে মুখের কাছে নিয়ে ফুঁ দিতে শুরু করলাম)কি হলো বুঝতে পারছেন না তো,,,,
বউ আমারে ছ্যাকা দিছে😥😥😥

আপনি হয়তো ভাবছেন,,,,বউ আবার ছ্যাকা দেয় কেমনে,,,,
আরে ভাই এই ছ্যাকা সেই ছ্যাকা না।হাতে থাকা রান্নার গরম খুন্তিটা আমার হাতে লাগিয়ে দিয়ে ছ্যাকা দিছে,,,,

আর কিছু না বলে হাতে ফুঁ দিতে দিতে রুমে এসে শুয়ে পরলাম।হাতটা প্রচন্ড জ্বালা করছে।নাহয় জরিয়ে ধরে ছিলাম।তাই বলে এভাবে করতে হবে,,,?চুপচাপ শুয়ে রইলাম।
কিছুক্ষণ পর খাবার খাওয়ার ডাক পরলো।কিন্তু আমি যাইনি।আর গিয়েও লাভ নেই।নিজ হাতে খেতে পারবো না।গরম খুন্তি লাগার কারণে হাতের তিনটা আংগুলেই ফোসা পরে গেছে।
শেষ পর্যন্ত না গিয়ে থাকতে পারলাম না।বৌ এসে জোর করে নিয়ে গেলো।কিন্তু খাবার প্লেট সামনে নিয়ে বসে আছি খাচ্ছিনা।
খাবার খাচ্ছিনা দেখে রিয়া জিজ্ঞেস করলো খাচ্ছি না কেনো।

কি হলো খাবার খাচ্ছোনা কেনো,,,?(রিয়া)

খেতে পারবোনা খাব না ।

কেনো কি হইছে,,,,

ইচ্ছে নেই।

তুই খাবিনা,তোর ঘাড় খাবে,,,,


পারলে ওটাকে খাওয়াও।আমি খেতে পারবোনা।
(সোজা এসে আমার কোলে বসে পরলো।মেয়েটা ভালো করেই জানে কিভাবে আমার রাগ ভাঙাতে হয়,,,)

আমার উপর রাগ করে আছো,,,(আমার কোলে বসা অবস্থায়)

নাহ,,,

তাহলে খাচ্ছো না কেনো,,,,?

দেখো হাতের কি অবস্থা করছো,,,

উফফ,,,এসব আমার জন্যই হয়েছে,,,,(চোখে জ্বল চিকচিক করছে)

আরে পাগলি,,,এভাবে কাধাঁর কি আছে হুম,,,দুদিনে ঠিক হয়ে যাবে।

হুম হয়েছে,,,এবার হা করো,,,,(উল্টো ঘুরে টেবিলে বসে আমার মুখের কাছে ভাত নিয়ে)

হুম দাও,,,,
বউ খাইয়ে দিচ্ছে,,,,আর আমি তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছি।
এভাবে খাইয়ে দিলে দুইদিন পরপর হাত পোড়াতে রাজি আছি সারাজীবন এই ভাবেই খেতে চাই।(আমি) ( আপনারা কি এক মত নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু)

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রাত,রোমান্টিক বাসর রাত,বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক গল্প বিয়ে,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প,বাংলা রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক বাসর রাত,

ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প


এতো কথা না বলে খেয়ে নাও,,,,
দুজন মিলে খুনসুটি করতে করতে রাতের খাবার শেষ করে রুমে এসে শুয়ে পরলাম।পাগলিটা সব কিছু গুছিয়ে রেখে অবশেষে রুমে আসলো।আর এসেই সোজা আমার বুকে,,,,অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।এটা তার দৈনিক রুটিন আমার বুকে ঘুমানো।আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা না রাখলে তার নাকি ঘুমই আসেনা।আমারও সেম অবস্থা,,,,পাগলিটা বুকে মাথা না রাখলে বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
একটা মজার কাহিনি শুনুন তাহলে,,,,
বিয়ের দিন বাসর রাতে বাসর ঘরে ডুকে অবাক হইলাম,,,,আমার পুরো ২২ বছরের বউ(মানে কোল বালিশ) ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আর তার সব নাড়িভুড়ি বের হয়ে ওড়াউড়ি করছে।

একি আমার কোল বালিশের এই অবস্থা কেনো,,,,

তার আর এখানে জায়গা নেই তাই ফেলে দিয়েছি।

কোল বালিশ ছাড়া আমি ঘুমাবো কিভাবে,,,পুরো ২২ বছরের অভ্যাস,,,ছাড়তে পারবো না।

তোমাকে অভ্যাস ছাড়তে বলছে কে,,,এতো বড় একটা জীবন্ত কোলবালিশ থাকতে মৃতটার কি দরকার,,,,

তবুও,,,,

এই শোনো,,,,আমি কোনো সতীনের ঘর করতে পারবো না ওকে,,,!
সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম,,,পাগলিটা আর যাই হোক,,,আমার পাশে কাওকে সহ্য করতে পারবে না।
মজার কাহিনি অনেক শুনেছেন,,,এইবার বাস্তবে আসুন,,,,

আপনাদের কাহিনি শুনাতে শুনাতে দেখি রিয়া ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,ধুর আজ আর লুডু খেলা হলোনা।মনে একরাশ কষ্ট নিয়ে রিয়ার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ঘুমিয়ে পরলাম।এভাবেই চলছিলো আমাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটি।

একদিন অফিসে বসে আছি।হঠাৎ রিয়া ফোন করে বললো বাবা মা আসছেন।হঠাৎ বাবা-মা আসার কারণ মাথায় আসলোনা।তবে মনটা খুব খুশি খুশি হয়ে গেলো।অনেকদিন পরে বাবা-মা আসলেন।ওনাদের সাথে দেখা হবে।একসাথে বসে গল্প করবো আর আড্ডা দিবো,,,সময়টা অনেক ভালো কাটবে।অফিস থেকে ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে শুয়ে পরলাম।অনেকটা সময় পর রিয়া আসলো।এসেই প্রতিদিনের ন্যায় আজও বুকে শুয়ে পরলো।

এই শুনো না।(রিয়া)


  রোমান্টিক গল্প বিয়ে


 হুম বলো।

রিয়া বলছিলেন তাদের নাতি নাতনি লাগবে।আর আমারও ইচ্ছে,,,

তাই বলে আমার বউ টা আছ অনেক খুশি খুশি লাগছে এতো তারাতাড়ি,,,,?

হুম।

বিয়ে হলো মাত্র কয়েক মাস।এতো তাড়াতাড়ি নেওয়াটা রিক্স হবে।

কিছু হবে না।

তবুও,,,,

তুমি কিছু চিন্তা করো না।সবকিছু ঠিকঠাকই হবে,,,,

তাহলে এখন আমার কি করতে হবে,,,

কিছুনা,,,শুধু একটা বাচ্চা দিলেই হবে।(লজ্জা মাখা মুখে)

তাহলে চলো,,,,

কোথায়,,,?

বাচ্চা নেওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে হবে না,,,?😊😊😊
আপনারা কি দেখছেন হুম,,,
দেখছেন আমরা যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি,,,তবুও আপনারা কি করেন,,,,যান বাসা থেকে ঘুরে আসুন।🙊🙊🙊
অবশেষে রিয়া পেগনেন্ট হল ।
ছয়মাস এর কিছু সময় পার হতেই বাবা-মা চলে আসলেন।মা আসলেন ওনার বৌমাকে এই সময়ে দেখভাল করতে।বাবাও একা একা গ্রামে কি করবেন।তাই তিনিও চলে এলেন।এভাবেই সুখে চলছিলো আমাদের সময়টা। বাবা-মার ভালোবাসা,স্নেহ আর রিয়ার কেয়ারিং।সব মিলিয়ে জীবনটা বিন্দাস।কিন্তু এই বিন্দাস জীবনটা বেশিদিন স্হায়ী হলোনা।হয়তো ভাবছেন আমার জীবনের কষ্ট শুরু হয়ে গেছে।নাহ,তেমন কিছুই হয়নি।

আস্তে আস্তে রিয়ার ডেলিভারির দিন কাছে চলে এলো।পাগলিটাকে নিয়ে আমার চিন্তার শেষ নেই। আমার বলে নয় সবার ই হয় জানি কিন্তু সে সব সময় হাসি মুখেই থাকতো।পাগলিটার কষ্ট হতো বুঝতাম।একটা দেহে অন্য আরেকটা দেহ নিয়ে গুরে বেড়ানো চারটে খানি কথা নয়।তবু হয়তো আমার মনের অবস্হা বুঝতে পেরে আমাকে মেন্টালি সাপোর্ট দেওয়ার জন্য হাসি মুখ নিয়ে আমার সামনে ঘুরে বেড়াতো।

হঠাৎ একদিন অফিসে নিজের রুমে বসে আছি।এমন সময় মায়ের ফোন।পাগলি টার অবস্থা নাকি খুবই খারাপ।পাগলিটাকে হাসপাতাল নিতে হবে।আমি আর বেশি দেরি করিনি।ম্যানেজারকে বলে সঙ্গে সঙ্গে অফিস থেকে বের হয়ে গেছি।আমি বাসায় পৌঁছে রিয়াকে পাইনি।নাহ কাউকেই পাইনি।আমি আসার আগেই বাবা-মা রিয়াকে নিয়ে হাসপাতাল চলে গেছেন।আমিও আর দেরি না করে হাসপাতালের দিকে ছুটলাম।পৌঁছে দেখি বাবা-মা বাহিরে অপেক্ষা করছেন।রিয়াকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ডেলিভারি রুমের বাহিরেই পায়চারি শুরু করে দিলাম।মাও আমাকে এই অবস্থা দেখে বিচলিত না হয়ে শান্ত হয়ে বসে থাকতে বলছিলেন।চাইলেই কি আর শান্ত হওয়া যায় বলেন তো ,,,?
অন্যদিকে রিয়ার বাবা মাকে মা খবর পাঠিয়েছেন।তারা-ও চলে এসেছেন।

কিছুক্ষণ পর ডেলিভারি রুম হতে ডাক্তার বের হলেন।বের হয়ে এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন।হয়তো রুগীর আত্মীয় স্বজনকে খুঁজছেন।আমি দৌড়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে ।

ডাক্তারবাবু আমার ওয়াইফ,,,,,(আর কিছু বলতে হয়নি।আমাকে থামিয়ে)

Congratulations আপনি মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েছেন।তবে একটা নয়,দুইটা।টুইন বেবি।(মুখে হাসির রেখা টেনে)

ডাক্তার আমার ওয়াইফ,,,,

এতো বিচলিত হচ্ছেন কেনো,,,,,বাচ্চা এবং বাচ্চার মা দুজন,দুঃখীত তিনজনই সুস্থ আছেন।

ধন্যবাদ ডাক্তার।

বাংলা রোমান্টিক গল্প



উহু শুধু ধন্যবাদে কাজ হবেনা।মিষ্টি খাওয়ান।

আমি এক্ষুনি মিষ্টি আনছি।

ধন্যবাদ বলার জন্য।মিষ্টি পরে খাওয়ালেও হবে।একটুপর রোগীকে বেডে শিপ্ট করা হবে।আপনারা চাইলে রোগীর সাথে দেখা করতে পারেন।(এই বলেই ডাক্তার ভিতরে চলে গেলো।)

একটু পরই রিয়াকে বেডে দেওয়া হলো।আমরা সবাই দেখা করতে গেলাম।(সবাই বলতে আমি বাবা-মা আমার শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ি।
আপনার মনে আছে আমি বলেছিলাম আমার বিন্দাস লাইফের ইতি ঘটেছে।সেটা এখান থেকেই শুরু।

ভেতরে গিয়ে পড়লাম আরেক ঝামেলায়। আমার মা আর শ্বাশুড়ি দুজনেই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে।দুজন আমার দুই মেয়েকে কোলে নিয়ে সরাসরি বাবা আর আমার শ্বশুরকে হুমকি,,,,এতোদিন আমরা দুজন ছিলাম তাই তোমরা পেরে উঠেছো।এখন আমরা চারজন হয়েছি।so no chance,,,,দুরে যাও।আমি আর রিয়া ওনাদের কান্ড দেখে হাসি থামাতে পারছি না ‌।

মেয়ে দুটোর বয়স প্রায় ছয়মাস হতে চললো।হঠাৎ রিয়া কান্না করে বাসায় আসতে বললো।ভাবলাম মেয়েদের কিছু হয়েছে কিনা।বাড়িতে এসে দেখি নাহ মেয়েরা ঠিকই আছে।দুজন একসাথে খেলা করছে।আমাকে দেখার সাথে সাথে হামাগুড়ি দিয়ে কাছে আসতে চাইলো।গিয়ে দুজনকেই কোলে নিলাম।রান্না ঘর থেকে শব্দ আসছে।রান্না ঘরে গিয়ে দেখি রিয়া হরেক রকমের পিঠা বানাচ্ছে।আমাকে দেখেই আগুন নিভিয়ে দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরলো।

কি হলো পাগলি তখন কান্না করলে কেনো,,,?

জানো আজ মেয়েরা আমাকে মা ডেকেছে।

তাই নাকি,,,?

হুম,,,,,,

তাহলে তো আমাকে এখন মিষ্টি খাওয়াতে হবে।

মিষ্টি কোথায় পাবো।দারাও পিঠা আছে।পিঠা নিয়ে আসছি।

উহু ম্যাডাম আমি ঐ মিষ্টি চাইনি।আমি এই মিষ্টি চেয়েছি।(ঠোঁটে আংগুল দিয়ে)

দিতে পারি।তবে আমাকে কোলে নিতে হবে।

কিভাবে,,,,আমার দুই কোলে দুই মেয়ে।

মেয়েদের আমাকে দাও।তবুও আমায় কোলে নিতে হবে।

তবে আর কি,,,,মেয়েদের ওনি নিয়েছেন।আর ওনাকে আমি।এতোদিন একজন সামলেছি।আর এখন তিনজন।জীবনটা পুরাই কচু পাতা,তবে গলা চুলকায় না।

আজ এতোটুকুই।

এখানেই গল্পের সমাপ্তি! তো আপনাদের কেমন লেগেছে নিচে কমেন্ট করে জানান ।


Previous Post
Next Post
Related Posts