বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প 2021 | বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প


হ্যালো বন্ধুরা আমি এই পোস্টে আপনাদের কে একটা সুন্দর বাসর রাতে রোমান্টিক গল্প দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা প্রেমের কাহিনী রোমান্টিক মিলনের গল্প শোনাতে চাই । আমি আপনাদের প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা বা রোমান্টিক ফুলশয্যার গল্প শুনাতে চাই । তো শুনতে থাকুন ।
বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,বাসর রাতের রোমান্টিক দৃশ্য,রোমান্টিক ফুলশয্যার গল্প,বাসর রাতের রোমান্টিক প্রেমের গল্প,বাসর রাতের প্রেমের কাহিনী,রোমান্টিক মিলনের গল্প,বাসর রাতের romantic story,বাসর ঘরে ভালোবাসা,প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

প্রথমেই বলি আমার নাম রাহুল ।
কিছুদিন ধরেই
একটা মেয়ে খুব ডিস্টাব করছে।
না পারছি বসতে
না পারছি ঘুমোতে না পারছি কিছু করতে ।
অসহ্য লাগছে আমার এই মেয়েটা কে ।

-পরের দিন আবার পথ ঘেরে দারিয়ে মেয়েটি বলল কেমন আছেন
রাহুল ভাই।
.
- আমি রাগী স্বরে বললাম কে আপনি?
কি চান আমার কাছে।প্রতিদিন কেনো আমাকে ডিস্টাব করেন।
.
-মেয়েটি মুখ ভেংচি কেটে বলল বেশ করেছি।এখন থেকে আরো বেশি করবো।
.
-আমি উপরের দিকে তাকিয়ে বললাম ভগবান  গো আমাকে তুমি ওঠায় নিয়ে যাও । এই মেয়েটির হাত থেকে বাঁচাও । কি বিছরি অসভ্য মেয়েরে বাবা চেনেনা জানে এক পরপুরুষ কে মাজরাস্তাই ডিস্টার্ব করছে।
.
*মেয়ে টি দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল -
ভগবানকে বলার কি ধরকার। আমাকে বললেই তো হয়। আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে ওপরে পাঠিয়ে দেবো। চিন্তা করবেন না আমি তো আছি ‌।
.
-আমি রেগে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে এই মেয়ে আর একটা কথা বললে না খবর আছে আপনার।
.
- এই কথা বলতে মেয়েটি যা বলল ওমা। আপনি দেখি আবার সাংবাদিকতাও শুরু করে দিলেন । কয়টার খবর? আর কোন চ্যানেলে?
.
না মনে মনে ভাবলাম এই মেয়েটি একটা পাগলি আর এই মেয়ের কাছে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো। তাই ওখান থেকে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে আছি এমন সময় মা আমার ঘরে আসলো!
:
- মা আমার পাশে এসে বসলো আর আদর করে মিষ্টি করে বলল  রাহুল  তোকে
একটা কথা
বলার ছিলো ।
.
-আমি বলল কি কথা মা?
.
-মা বলল আমরা না জানিয়েই তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। মেয়ে খুব ভালো।তোর বাবার বন্ধুর
মেয়ে।
.
-আমি চমকে গেলাম আর কিছুটা রাগনীত হয়ে বললাম মানে? আমার মতামত জানার চেষ্টা করলে না একবারো! আর আমার পড়াশোনাতো এখনো শেষ হয়নি।
.
-মা মুচকি হেসে বলে গেল তোর মতামত আবার কি!আমাদের সিন্ধান্তই তোর সিন্ধান্ত। আর কাল থেকে অফিসে যাবি ।
.
আমি বললাম -অফিস! চাকরিই হয়নি আবার অফিস।(খুশি হয়ে)
.
মা বলল -ও নিয়ে তোকে মাথা ঘামাতে হবেনা। ওসব আমি ঠিক করে রেখেছি।
,
আমি মনে মনে ভাবলাম ~উহু ও।মা দেখছি আমাকে বিয়ে করানোর জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে।
.
-আগামী সোমবার তোর বিয়ে। যা যা কেনা-কাঠা করার সব করে নে(রুম থেকে বের হতে হতে মা বলল)

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প

বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প,বাসর রাতের রোমান্টিক দৃশ্য,রোমান্টিক ফুলশয্যার গল্প,বাসর রাতের রোমান্টিক প্রেমের গল্প,বাসর রাতের প্রেমের কাহিনী,রোমান্টিক মিলনের গল্প,বাসর রাতের romantic story,বাসর ঘরে ভালোবাসা,প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা,বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

আমি রেগে গিয়ে বললাম -এ্যা।আর মাএ দুইদিন সময়। না এ বিয়ে আমি কিছুতেই করবো না।আমাকে তো টাইম দাও ।
.একা একা বসে ভাবতে শুরু করলাম দূর মাথায় কিছুই কাজ করছে না।আচ্ছা এতোকরে যখন বলছে তখন বিয়েটা করেই ফেলি কি বলেন? বিয়েটা করলে দুইটা সুবিধা পাবো।

প্রথমত বউয়ের আদর।
দ্বিতীয়ত এই ডাইনি মেয়েটার হাত থেকে রক্ষা পাবো।
;
দেখতে দেখতেসোমবার এসে গেলো। আজকে আমার বিয়ে।
সকাল থেকেই বাড়িতে লোকজন আনাগোনা।
সাথে ফাজিল বন্ধুগুলোর বাশঁ তো  আছেই। আমি প্রতি সোমবার শিবের পূজা করি । এবার তাড়াতাড়ি পূজা  করে হবু শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । সবচেয়ে মজার কথা হলো যাকে বিয়ে করছি মানে আমার বউকে এখনো পযন্ত দেখিনি। এমনকি পিকও দেখিনি। মনে মনে কৌহতুল জেগেছে আমার বউ টা দেখতে কেমন হবে ।  শুধু নাম শুনেছি প্রিয়াঙ্কা।

যাইহোক দেখতে দেখতেই শ্বশুর বাড়িতে এসে পৌছে গেলাম। ইয়া বড় বাড়ি। যাক অবশেষে ঘর জামাই হিসেবে থাকতে পারবো কি বলেন। বিয়ে উপলক্ষ্যে বাড়িটাকে অনেক সুন্দর করে সাজানো হলো। একটু পর আমাকে একটা স্টেজে নিয়ে বসানো হলো। আর সবাই এসে আমাকে দেখতে লাগলো। মনে হচ্ছে চিড়িয়াখানায় যেনো নতুন কেনো প্রানীর আবিভাব ঘটেছে। অসহ্য। তবে ভালোও লাগছে। অনেকেই আমার পিক তুলছে। ইচ্ছে হচ্ছিলো ওঠে দাড়িয়ে একটু স্টাইল করে দাড়াতে। কিন্তু মান-ইজ্জতের কথা চিন্তা করে আর দাড়াই নি। নতুন জামাই বলে কথা।

-তার কিছুক্ষণ পরে কে যেন পিছন থেকে চিমটি কাটলো ওমারে। মরে গেলাম গো। কে চিমটি কাটলো আমাকে?(চোখ বড় বড় করে পিছনে ঘুরে দেখি) পিছনে থাকিয়ে দেখি অনেকগুলো মেয়ে দাড়িয়ে হাসছে।
;
-ঐ চুমকি দেখ তোর দুলাভাইয়া ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছে।(হৈ হৈ করে হেসে)

বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প.

যাক তাহলে
একটা শালিকা পাওয়া গেলো।
নামটাও ইত্যিমধ্যে জানা হয়ে গেছে চুমকি । শালিকাকে কিছু বলার আগেই মুখ ভেংচি কেঠে চলে গেলো।
;কিছুক্ষন পর বউকে (প্রিয়াঙ্কাকে) আমার
পাশে এনে বসানো হলো। কিন্তু লজ্জায় ওর দিকে তাকাতে পারলাম না।
অতঃপর বিয়ের কাজ সম্পূর্ন করে
প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসলাম।
;
আজকে আমাদের বাসর রাত।
 বন্ধুদের সাথেআড্ডা দিয়ে বাসর ঘরে ডুকলাম ১১টার দিকে। ডুকার আগে দাদি ও ভাবিরা মিলে অনেক বাশঁ দিছে আমাকে।
বাসরঘরে ডুকে দেখি  আমার বউ প্রিয়াঙ্কা অনেক  বড় গোমটা দিয়ে বসে আছে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আস্তে আস্তে ওর
কাছে গেলাম। বুকটা কেমন জানি ধুক ধুক করতে লাগলো।
-আস্তে আস্তে ভয়ে ভয়ে বললাম ঘুমটাটা একটু সরান না!

রোমান্টিক ফুলশয্যার গল্প


-প্রিয়াঙ্কা মুচকি হেসে বলল নিজে সরিয়ে দেখলে কি হয় ।
.অতঃপর অনেকক্ষন দুজনি চুপ করে বসে রইলাম তারপর একসময় সাহস করে ঘোমটাটা সরিয়ে ফেললাম।
-একি আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো?
তু-তু-তুমি।(এই ফাজিল মেয়েটা।যে মেয়েটা আমাকে প্রতিদিন ডিস্টাব করতো)
.প্রিয়াঙ্কা মুচকি হেসে বলল -
জ্বী মি. রাহুল আমি । প্রতিদিন এভাবে রাগাতে ভালো লাগেনা। তাই একেবারে বিয়ে করে ফেললাম। এবার দেখবে পাগলামো কাকে বলে।
. আমি অবাক হয়ে বললাম পাগলামো মানে?
.এর আফদার বা পাগলামো যা বললেন আপনারা
-এখন থেকে প্রতিদিন আমার জন্য অফিস থেকে আসার সময় ফুল নিয়ে আসতে হবে। সাথে একটা করে পায়েল। রাত ৯.৩০ টার পর বাসায় আসা চলবে না। প্রতিরাতে আমাকে ফুসকা
খেতে নিয়ে যেতে হবে।
আর প্রতি রবিবারে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। (চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
-আমি রেগে গিয়ে বললাম
এতোকিছু। আমি পারবো না।
..
-এই কয়টা শুনেই
বলছো এতো কিছু।
আরে অনেক কিছুতো
এখনো বাকি আছে।
কিহ পারবি
না মানে।
তুই পারবি তোর ঘারও পারবে।(রাগ করলে তুই বলে ডাকে)
.
-পা পা পার-বো-না।(ভয় দেখাতে চেয়ে)
..
-কি বললি
আবার বলতো শুনি(শার্টের কলার ধরে)
.
-বলছি তো ঠিক
আছে পারবো।(মন খারাপ করে)

বাসর রাতের প্রেমের কাহিনী


-গুড বয়। ভালো ছেলে এবার চল তোর বুকে আমি ঘুমোবো।(লজ্জা পেয়ে)
.
-পারবো না। আমার ঘুম পাচ্ছে। গুড নাইট।(বলেই অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পড়লাম।)
.
প্রিয়াঙ্কাও কিছু না বলে রাগ করে অন্যদিকে শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর বুঝতে পারলাম ও ছটফট করছে। আমিও নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না। আর এটাই তো স্বাভাবিক তাই না।  
একটি ছেলে আর একটি মেয়ে একসাথে একি বিচানায় কেউ কাউকে স্পর্শ না করে থাকাটা খুব কষ্টদায়ক। আর সেটা যদি হয় বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তাহলে তো আরো বেশি কষ্টদায়ক।
কিছুক্ষন শুয়ে থাকার পর বুঝতে পারলাম।

 আমার বুকে কিছু একটা আশ্রয় নিয়েছে। হু ঠিকি ভেবেছি পাগলিটা আমার বুকে এসে আশ্রয় নিয়েছে । আমিও আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।
শারিরীক প্রতিক্রিয়ার কাছে হেরে গেলাম। ডিম লাইটের আলোতে
ওর লজ্জামাখা চেহারাটা দেখতে পেলাম।

প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা

অতঃপর চোখে চোখ রাখলাম। ও লজ্জা পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো। আস্তে আস্তে ওর
ঠোটদুটোতে আমার ঠোটদুটো মিশিয়ে
দিলাম। ও চোখবন্ধ রেখে
আমাকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরলো।
হারিয়ে গেলাম স্বামীর-স্ত্রীর এক পবিএ ভালোবাসার বন্ধনে।

Previous Post
Next Post
Related Posts