রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী
বাসর রাতে জানতে পারলাম আমার বউ রুমার একটা দোষ আছে জিনিসের নাম মনে না আসলে "ওটা" শব্দটা ব্যবহার করে থাকে সেৎ। স্মরণ শক্তি কম হলে তেমনটা অনেক মানুষের হয়ে থাকে । তার "ওটা" শব্দের ব্যবহার জন্য আমার জীবনটা অনেক টা ছারখার হওয়ার মত অবস্থায় পৌঁছে গেছে । সে আমাকে বাসর রাতে বলল,
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী |
দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প
কি বলছো তুমি সবাই দেখে মানে?
আমার এক বান্ধবী সম্পার ওটা ছিল আমরা ওটা ধরে ধরে দেখতাম আর খুব মজা করতাম।
আমার মাথা ঘুরে গেল তার কথা শুনে । এই মেয়ে কি বলে বলছে ! পুরুষ মানুষের ওটা আবার মেয়ে মানুষের কিভাবে থাকে আবার সেটা নাকি ধরে ধরে দেখতো । এই আমি কাকে বিয়ে করলাম গো আমি কান্না ভাব নিয়ে তাকে বললাম,
কি বলছো তুমি আমি তো তোমার কথা শুনে বাসর রাতেই শহীদ হয়ে যাব ?এটা কেউ ধরে দেখে নাকি?
আরে পাগল , আমি গালের তিল এর কথা বলছি।
গালের তিল মানে?
না হলে, তুমি কি ভেবেছো!
আমিও না । তুমি বুঝবে না ওসব।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন রুমা কে আদর করতে লাগলাম, তখন সে আমার থেকে ছাড়িয়ে আমতা আমতা করে বলল,
আমিতো আমার "ওটা" আমার রুমে রেখে এসেছি গো ! এখন কিভাবে হবে!
আমিতো ভয় ঢুক দিতে লাগলাম । "ওটা" যে কেউ রেখে আছে সে সেটা আজ জানতে পারলাম । আবার কান্না মাখা চোখে তাকে জিজ্ঞেস করলাম ওটা কি?
কী রেখেছো এসেছো তুমি ?
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
না মানে ওটা আর কি ! যেটা দিয়ে ওটা করে !
আমি কাঁদতে লাগলাম । আর মনে মনে বললাম হায়রে ভগবান আমি কাকে বিয়ে করেছি । হায়রে ওটা যে কেউ ঘরে রেখে আছে সেটা আমি আজ প্রথম জানলাম তাই চোখ বেয়ে কান্না পড়তে লাগল । বাসর রাতে তো আনা উচিত ছিল । কিন্তু সে কিছুক্ষন পর বলল,
তুমি এখন কাঁদছো কেন ? আরে লম্বা ওটা আর কি?
আমি তো নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে থাকলাম । এত গোপনে ভিডিও দেখলাম, ওদের সেটা লম্বা কিভাবে হয় ? কিন্তু রুমা আমাকে বলল যে ,
ও মনে পড়েছে ! আরে মোবাইলের কথা বলছিলাম এতক্ষণ।
তার কথাটা শোনার পর আমার বুকে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে থাকলাম । বুকে পানি এলো। আর একটু হলে তো সংবাদপত্রের হেডলাইন হয়ে যেতাম । যাক রুমা যেটা বাসায় রেখে এসেছে ভেবেছিলাম, সেটা না । এই মেয়ে "ওটা-সেটা" বলার জন্য আমার জীবন জিন্দেগি তামা-তামা হয়ে যাচ্ছে । ওইদিন বাবাকেও বলে বসল যে ,
বাবা ! আপনার ওটা তো খুবই বাঁকা !
বাবা ভয়ে চুপসে যেতে লাগলো । ঢুক গিলতেও লাগলো । কিন্তু, রমা আবার বাবাকে বলল,
আপনার ওটা'কে আমার শাশুড়ি মা কিভাবে যে বড় করেছে, সেটা আমি বুঝি না । এটা শুনে আমি আর বাবা পূরো অবাক ।
রোমান্টিক গল্প
কিছুক্ষণ পর দেখছি বাবা বুকে হাত দিয়ে আছেন। মুখে সাদা ফেনা বের হচ্ছে । আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়ে বললাম,
বাবা ! তুমি যেটা ভাবছো, ওটা সেটা না ! এটা অন্য ওটা ।
আমি তাড়াতাড়ি রুমার কাছে গেলাম আর তাকে বললাম তাড়াতাড়ি নামটা বলে দাও, নইলে বাবা তো মরে যাবেন।
"চ" দিয়ে শুরু ওইটা আরকি ।
বাবা না বুঝে এবার মেঝেতে শুয়ে গেছে । "চ" দিয়ে কি নাম ভেবেছেন ভগবানই ভালো করে জানেন আর এই পাগলী । বাবা পা গুলো মৃগীরোগীর মতো বারি দিচ্ছে কিন্তু নীলা বললো যে ,
ছোট "চ" না বড় "ছ" দিয়ে শুরু গো ।
এবার আমি বুঝে রুমাকে জিজ্ঞেস করলাম ওটা হল ছেলে।
রুমা বলল হ্যাঁ । আপনার ছেলেটা বড়ই বাঁকা । যেটা বোঝে সেটাই করে । শাশুড়ি মা আপনার ছেলে'কে বড় করেছে কিভাবে । আমি বুঝিনা ।
বাবা , নিজে নিজে ঠিক হয়ে যেতে শুরু করলেন । একদিন বড় মাসিকেও হাসপাতালে পাঠাতে হল "ওটা" বলার জন্য । বড় মাসি আমাদের বাড়িতে আসলো তারপরে রুমা সাথে কথা বলতে লাগলো ।
মাসি ! আপনি আমাকে আপনার "ওটা" দিয়ে দোয়া করবেন । যেটা আপনার লম্বা !
বড় মাসী এক্কেবারে অবাক হয়ে গেলেন । মনে হচ্ছে বড় কোন ভূমিকম্প হয়ে গেছে । হয়তো ভেবেছেন "ওটা" দিয়ে আর কিভাবে দোয়া করা যায় ।
ওমা! উনি দেখি ওটা দিয়ে দোয়া করার কথা চিন্তা করছেন তাতেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হার্ট অ্যাটাক করে দিয়েছেন সে দাঁড়ানো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলাম তাকে । এমনকি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে স্যালাইন সহ চিকিৎসা দেওয়া হলো । পরে বুঝলাম, রুমা বলেছে ওটা মানে মাসির হাতের কথা ।
রোমান্টিক গল্প বিয়ে
রুমাকে নিয়ে আমি অনেক বড় বিপদে পড়ে গেলাম । তার রূপ দেখে কাবিন নামায় 20 লাখ টাকা লিখিয়ে, এখন তাকে তালাকও দিতে পারছি না আর আবার সইতে পারছিনা । হ্যায় আমার পূরা কপাল ।
একদিন তার কারণে বছরও তালাক হয়ে গেল বিয়ের উপলক্ষ্যে বসের বাড়িতে সবাইকে আমন্ত্রণ করল। অফিসের বস তার বউকে নিয়ে আসলো । আমার বউকে দেখে দুষ্টুমি করে বলল, "বাহ"! সুদীপ তোমার বউটা তো দেখতে অনেক সুন্দর অনেক লাকি তুমি । আমি কেন পেলাম না আফসোস হচ্ছে । তখন বসকে রুমা লজ্জা করে বলল,
স্যার আপনার ওটা দেখছি কাঁটা।
স্যার আর স্যারের বউ অবাক হয়ে রুমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন কোন কিছুর সাথে মিলে গেছে। স্যারের বউ, তাকে কলার ধরে নিয়ে গেল বাসায় গেলো। ওটা যে কাটা কিভাবে জানল রুমা? নিশ্চয় দেখিয়েছেন স্যার ।
পরে শুনি, স্যার'কে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে তালাক দিয়েছেন । স্যারের কি কান্না । আমি স্যারকে দেখতে গিয়ে বললাম আপনি যেটা ভাবছেন সেটা না স্যার । ওটা আপনার ঠোঁট কাটা থাকার কথা বলেছে । স্যার দেখে ঘুমিয়ে গেছেন। নিশ্বাস চলছে না ।
মিষ্টি প্রেমের কাহিনী
আমি আবার বাসায় এসে রুমাকে নিয়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে । ওষুধ খেলে তার ওঠা ভালো হয় কিনা কে জানে ? নহলে কারো কাছে যে মুখ থাকবে না । ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে গেলে, ডাক্তারকে বললেন, "কি সমস্যা" হয়েছে মা তোমার । রুপা বলল,
আমার ওটার সমস্যা । আমি কথায় কথায় ওটা বলি । এতে আমার কি দোষ বলুন। ওটা কোন সমস্যা নাকি।
স্যার ! আপনি কি ওটার চিকিৎসক যে , ওটা ঠিক করে দেবেন ? আপনারা তো মাঝে মাঝে ওটা চলে আসে তাইনা । কিন্তু আপনি তো সময় নিয়ে ওটার কথা বলে দেন ।
ডাক্তার চেম্বার এর ডাক্তারই কুপকাঁত হয়ে আছেন । রোগীর কথা শুনে ডাক্তার নিজেই শেষ । কেউ দেখার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে চলে এলাম । এভাবে হলে পুরো এলাকা রুমা কবরে ঢুকিয়ে দেবে দেখছি। তাই জায়গা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করলাম পরের দিন, সকাল হলে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
সেদিন ঘরে আমি আর রুমা ছাড়া আর কেউ ছিল না। হঠাৎ পাশের ফ্লাটে চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে গেলাম সেখানে । গিয়ে দেখি বাড়ির মালিককে কেউ একজন ছুরি মেরে পালিয়েছে। আমি ছুরিটা বের করার সময় তখন সেই সময় পুলিশ এলে, আমাকে খুনি ভাবে ধরে নিয়ে গেল। রুমা আমাকে চিন্তা করতে নিষেধ করলো কিছুদিন পর, আদালতে আমি।
আমার বিপরীতে ছবি সাক্ষী-প্রমাণ বিপক্ষে গেল নিশ্চয়ই আমি খুনি। কিন্তু, তখন প্রধান সাক্ষী রুমা কাটগড়ায় এলো। জজ সাহেব বললেন,
মা তুমি যা দেখেছ, তা সত্যি বলো!
বাদী পক্ষের আইনজীবী বললেন, আপনি কি খুনি দেখেছেন? রুমা বলল,
হ্যাঁ! আমি ছিলাম সেখানে!
তাহলে, সব খুলে বলো।
ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প
আমি আর সুদীপ ওটার ওপর শুয়ে ছিলাম । ঘুম আসছিল না, তাই দুজনে ওটা করছিলাম । হঠাৎ কারও চিৎকার । সুদীপ আমাকে ওটার ওপর রেখে বেরিয়ে যায় ।
আমিও আস্তে আস্তে দেখি বাড়ির মালিকের পেটে ওটা । মালিকের ওটা নড়তে ছিল । আমার হাজব্যান্ড মানে সুদীপ যখন তার ওটা হাত দিয়ে নিয়ে নিলো, তখন বাড়ি মালিক "আহ" করে মারা গেলেন। তখন আপনারা এলেন আর সুদীপকে ওটাসহ দেখে অপরাধী ভাবলেন । আমি জজ সাহেবের ওটার কসম খেয়ে বলছি, আমার হাজব্যান্ড একদম নির্দোষ ।
প্লিজ জজ সাহেব আপনার যদি একটুও ওটা থাকে, তাহলে আমার হাজব্যান্ড কে ছেড়ে দেন । আমার কাছে ওটা আছে আমি এক্ষুনি বের করছি সবার সামনে ।
পুরো আদালত রুমার ওটা বের করার কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল । আসলে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এর ক্যাসেট বের করছিল রুমা । জজ সাহেব এই প্রথম রায় দেওয়ার আগেই মারা গেল । রুমার ওটার জন্য বেঁচে গেছি আজ।
রুমার ওটার জন্য বেঁচে গেছি। তারপর থেকে থানাপুলিশ আমার থেকে দূরে থাকতে আমাকে দেখলে তারা আর আমার কাছে আসতো না তারপর রুমাকে আর ডিভোর্স দিইনি । তার ওটা শব্দ জন্য আমার আবার ওটা পেলাম।
আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।