ভালোবাসার গল্প - (Valobashar Golpo) | Romantic Valobashar Golpo

 ভালবাসার গল্প

আজকে আপনাদের জীবনের ভালোবাসার গল্প শোনাবো তো প্রথমেই বলি আমার নাম আকাশ আর আমার হবু বউয়ের নাম প্রিয়া । আজকে গল্প টি হচ্ছে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পুরোটা পড়তে থাকুন আর কেমন হয়েছে জানাবেন । প্রতিদিন দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প গুলি পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো করুন আর সঙ্গে থাকুন।


ভালবাসার গল্প


ভালোবাসার গল্প,ভালোবাসার কবিতা,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,জীবনের গল্প,প্রেমের গল্প,ভালবাসার গল্প,রোমান্টিক গল্প,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,

ভালোবাসার গল্প



ওই মেয়েটার সাথে তোমার কি এত কথা এতক্ষণ ধরে গল্প করছিলে?

তেমন কিছু নাগো ও প্রাইভেট পড়বে, এই জন্য একটা শিক্ষক খুঁজতে ছিলো । 

দুনিয়াতে কী আর কোনো ছেলে পেলে না ? তোমাকে পেয়েছিল যে তোমার কাছে এসেছে?

আমাকে সামনে পেলো, সেজন্য আমাকে জিজ্ঞেস করল আমাকে তো অনেকে চেনে সেজন্য হয়তো আমাকে বলেছে!


এতে করে তোমারও একটু কথা বল হলো বলোনা ।

প্রিয়া! তুমি কেমন কেন করতেছো? মেয়েটা সাহায্য চাইলো, সেই জন্য ওকে একটু হেল্প করলাম ।

 তোমাদের প্রতিটা মেয়ের কি কমবেশি এই সমস্যা আছে ?যাকে ভালোবাসো, সে যদি অন্য কোন মেয়ের সাথে একটু হেসে হেসে কথা বলে তাহলে শুরু করে দাও ভূমিকম্প মনে হয় যেন আমি তোমাকে ভুলে গিয়ে অন্য কাউকে ভালোবাসা শুরু করে দিয়েছি । 


না তেমন নয় কিন্তু এখনকার মেয়েদের বিশ্বাস নেই।

তাই বলে কি আমার উপরে তোমার বিশ্বাস নেই?

তোমার উপর বিশ্বাস না থাকলে তো তোমাকে আর ভালবাসতাম না।

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

আমার তো সেটাই মনে হচ্ছে আমাকে বিশ্বাস করলে এত সন্দেহ করতে না।

ওকে মশাই এরপর থেকে আর সন্দেহ করবো না, এখন আমার সাথে চলো । 

এখন কোথায় যাব। 

আগে তুমি আমার সাথে চলো, তারপরে বুঝতে পারবে।

প্রিয়ার সাথে যেতে থাকলাম আমি । মেয়েটা একদম অদ্ভুত, কখন কি করে আমি নিজেই বুঝতে পারি না । তবে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে সে অনেক বেশি যার কারণে আমাকে সে সব সময় চোখে চোখে রাখে । 


প্রেমের গল্প

অটোতে চরে তেমন কোনো কথা হয়নি প্রিয়ায় সাথে । অটো তার আপন গতিতে গন্তব্যের দিকে ছুটছে। ওটা একটা বাড়ির সামনে এসে থামল । বাড়িটা থেকে বোঝা যায় মধ্যবিত্তের বাড়ি। 

এইযে প্রিয়া তুমি এটা কার বাড়িতে নিয়ে এলে আমাকে?

তুমি আগে ভিতরে চলো তারপরে সব বলছি?


পিয়ার পিছনে পিছনে বাড়ির ভিতরে গেলাম বাড়িতে ঢোকার পরে আমি একদম নিশ্চুপ হয়ে গেলাম । মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না । বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখি আমার মা চেয়ারে বসে আছে যার সাথে আমার দীর্ঘ দশ বছরের দেখা হয়নি । 

বাবার সাথে ঝগরা করে প্রায় দশ বছর আগে বাড়িতে করেছিলাম । তারপর থেকে আর সেই বাড়িতে যায়নি কোনদিন । এই দশটা বছর কিভাবে যে পার হয়ে গেছে আমি সেটা কখনোই বুঝতে পারেনি । অনেক কষ্ট করে নিজেকে তৈরি করেছি আমি।

জীবনের গল্প

নিজের মাকে দেখার পরে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না চোখের কোনে পানি পড়তে লাগল অবিরাম মনে হচ্ছে অনেক দিন পরে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে কবে শেষ কেঁদে ছিলাম মনে নেই আজকে মাকে দেখার পর আবার কাঁদলাম মায়ের চেয়ার থেকে উঠে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দাঁড়ালো । 


সেই 10 বছর আগে জমানো অভিমান গুলো একদিন নিমেষে শেষ হয়ে গেল । দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলাম চোখ দিয়ে তখন পানির অবিরাম স্রোত বয়ে চলেছে । নিজেকেই দশটা বছর একা মনে হতো বড় অসহায় ছিলাম । এই 10 বছর পর প্রিয়া আমাকে এমন একটা সারপ্রাইজ দিবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি ।

ভালবাসার গল্প

তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও মা !

আরে পাগল এতদিন পরে তোকে আমি কাছে পেয়েছি , আমি তো আমার জীবন ফিরে পেলাম রে ! দোস্ত তো সেদিন আমাদেরই ছিলো, তুই কেন ক্ষমা চাইছিস?

আমি তোমাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাদেরকে না বলে চলে এসেছি অজানা একটি শহরে। 


এখন আমাকে বল আর কোনদিন এমন করবি না তুই তোকে ছাড়াই দশটা বছর আমি কেদে কেদে পার করেছি, তোর কথা সব সময় ভেবেছি ,তোকে আমি অনেক খুজেছি, কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি রে বাবা!

আমিও আর তোমাদের ছেড়ে কোথাও যাব না মা, এখন থেকে তোমাদের কাছে থাকবো।


তুই তো আগের থেকে অনেক চিকন হয়ে গেছিস রে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করিস না মনে হয় চল এখন বসে থেকে আমার সাথে খাবি তোর বাবা চলে আসবে কিছুক্ষণ পরে।


প্রতিটা মায়ের একই কথা, তুই আগের থেকে চিকন হয়ে গেছিস, দেখতে আগের থেকে অনেক খারাপ হয়ে গেছিস মোটা হলো একথাই বলবে বাবা মাস্তান কে কতটা ভালোবাসে সেটা হাজার ভাবলেও বুঝতে পারবে না কেউ কিন্তু সেই বাবা-মাকে অনেক কষ্টে ছেলে-বউয়ের কারনে কষ্ট দিচ্ছে ।

প্রিয়া আমাদের মা ছেলের কাজ দেখে নিজের চোখ দিয়ে দুফোঁটা অশ্রু ঝরিয়ে দিয়েছে । কিছুক্ষণ পরে বাবা চলে এসেছে বাবা এসে আমাকে দেখার পরে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেছে অনেকদিন পর ছেলেকে দেখলে যে কোন বাবা-মা কাঁদবেই ‌।


বাবা কে সাথে নিয়ে আমায় আমরা সবাই মিলে খেতে বসলাম । অনেকদিন পরে নিজেকে সুখী মনে হল । সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ছাদে উঠে ভাবছি, প্রিয়া আমাকে অনেক ভালোবাসে যার জন্য আমার হারিয়ে ফেলা পরিবারকে সে আমার কাছে ফিরিয়ে দিল হঠাৎ করে প্রিয়ার আগমন ,


এই যে মশাই এত গভীরভাবে কি ভাবতেছো?

তোমার কথাই ভাবছিলাম তুমি আমার জন্য কত কি করলে, অথচ আমি কিছুই করতে পারলাম না ।

আমার জন্য তোমাকে কিছুই করতে হবে না আমি শুধু তোমাকেই চাই জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তুমি আমার পাশে থাকলেই হবে । 

প্রিয়া তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই না?

নিজের জীবনের চেয়েও অনেক বেশি!

একটু দাড়াও, আমি আসতেছি।

প্রিয়াকে ছাদে রেখে আমি একাই নিচে নেমে এলাম প্রিয়ার জন্য কিনে রাখা লাল চুড়ি গুলো কে ঢেকে দেবার জন্য আজকেই উত্তম সময় অনেক দিন আগে কিনেছিলাম চুড়িগুলো কিন্তু লজ্জায় আর কম দামি বলে পিয়া কে দিতে সাহস পায়নি । 


চুড়িগুলো নিয়ে ছাদে চলে গেলাম পিয়া ছাদের একপাশে বসে আছে সূর্যটা ডুবে গেছে অল্প সময় আগেই চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসছে কিন্তু চাঁদমামা থেকে আকাশের উপরে নিজের আলো ছড়াচ্ছে ঠিক সেই সময় প্রিয়ার কাছে চলে গেলাম । 

প্রিয়া তোমার একটু হাতটা দেবে । 


আমার কথা শুনে প্রিয়া পিছনে ফিরে হাতটা বাড়িয়ে দিলো । প্রিয়ার হাতে চুড়ি গুলো পরিয়ে দিলাম । প্রিয়া চুড়িগুলো পেয়ে খুশি হয় কিনা বলতে পারবো না, কিন্তু আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছে,

সারা জীবন আমাকে এভাবেই ভালোবাসবে তোমার থেকে আমি দামি কোন গিফট আশা করি না । তুমি তো আমার সব থেকে দামি গিফট ❤️❤️। তবে মাঝে মাঝে আমার জন্য লাল জবা ফুল নিয়ে আসবে আর নতুনভাবে প্রপোজ করবে । 


প্রিয়ার কথায় আমি একটু মুচকি হাসলাম সে বুঝতে পেরে গেছে কিছুদিন পরে আমাদের বিয়ে আমার পরিবারের সাথে আমার আর প্রিয়ার বিয়ে ঠিক করে গেছে। মা আমাকে বলেছে কথাগুলো । ছাদে প্রিয়ার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থেকে আকাশের চাঁদ মামা দেখছি। 

আর প্রিয়া আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে এই সময় মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি এখন আমি তবে একটি কথা একদম সত্য সুখের সময় হয় ক্ষণিকের জন্য, আর দুঃখের সময় হয় দীর্ঘ । 


তো আমাদের আজকের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প টি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর নেক্সট ভিডিওর জন্য অবশ্যই নিচের লিংকে ক্লিক করুন। 

আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে। 

ei  romantic valobashar golpo bangla upnader jodi valo lege jai tahole obosoy nichea janaben . golpo ti kamon hoyeche. 


Previous Post
Next Post
Related Posts